আদালত থেকে নির্দোষী চার নেতা দশ বছরেও চাকরী ফেরত না পেয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি॥ জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিকলীগের অফিস থেকে বঙ্গবন্ধু ও তৎকালিন প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছবি এবং সাইন বোর্ড অপসারনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনায় চাকরী চ্যুতির প্রায় বিশ বছর হলেও চাকরী ফেরত পাননি চার শ্রমিক নেতা। ফলে ঐ চার শ্রমিক নেতার পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের মানবেতর জীবনন যাপনের কষ্ট লাঘবের লক্ষে চাকরী ফেরত পাবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। চাকরীচ্যুত তৎকালিন ঈশ^রদী বিদ্যুৎ বিভাগের এলডিএ ও জাতীয় শ্রমিকলীগ ঈশ^রদী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড শাখার আইন বিষয়ক সম্পাদক পুলক বিশ^াসের লিখিত আবেদন ও অভিযোগ সুত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।
সূত্রমতে,গত ২০০০ সালের আগস্ট মাসে জাতীয় শ্রমিকলীগ ঈশ্বরদী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড শাখা কার্যালয় থেকে বিনা নোটিশে বঙ্গবন্ধু ও তৎকালিন প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছবি এবং সাইন বোর্ড অপসারণ করে নেন তৎকালিন আবাসিক প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবাসিক প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ও শ্রমিকলীগ নেতাদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটলে আবাসিক প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম আহত হন। এ ঘটনায় দপ্তর প্রধান হিসেবে উপসহকারী প্রকৌশলী ওহিদুর রহমান ঝন্টু বাদী হয়ে গত ০৮.১০.২০০০ ইং তারিখে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মনসুর রহমান,দপ্তর সম্পাদক শাহাব উদ্দিন,সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পুলক বিশ^াসের বিরুদ্ধে ঈশ^রদী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর প্রায় দু’মাস পর দপ্তর সম্পাদক শাহাবউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি তিন জন পাবনা আদালতে আতœ সমর্পন করেন। প্রায় ৯ বছর মামলা চলাকালে মনসুর বিশ^াস মৃত্যু বরণ করেন। অবশেষে দীর্ঘদিন মামলা চলার পর বিজ্ঞ আদালত গত ১৮.১০.২০১০ ইং তারিখে পুলক বিশ^াস, শাহাবউদ্দিন ও রেজাউল করিমকে বেকসুর খালাস দেন। মামলা চলাকালিন সময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিকলীগ ্ঈশ^রদী শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাজদার হোসেন ও সভাপতি নুরুল ইসলাম সাক্ষরিত সংগঠনের রেজুলেশন পত্র তৎকালিন বিদ্যুৎ শ্রমিকলীগের কেন্দ্রিয় কমিটিসহ প্রধান মন্ত্রী ও বিদ্যুৎ ম›ত্রী এবং বিভিন্ন ম›ত্রনালয়ের মন্ত্রী,সচিব ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর অনুলিপি প্রেরণ করেও কোন লাভ হয়নি। ফলে চাকরীচ্যুত শ্রমিকলীগ নেতারা চাকরী ফেরত না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন থেকে তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অসহনীয় মানবেতর জীবন যাপন করতে গিয়ে কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে চাকরী ফেরত পাবার জন্য প্রধান মন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।