মৌলভীবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘঠনায় অপমৃত্যুর মামলা ঃ তদন্ত শুরু

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজার শহরের পিংকী সু ষ্টোর নামক জুতার দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫ জন আগুনে পুড়ে মুত্যুর ঘঠনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কারন জানতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তানিয়া সুলতানাকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। জেলা প্রশাসন ৩দিনের সময় বাড়িয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মৌলভীবাজার পৌরসভাও পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। উভয় তদন্ত কমিটি আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে দুর্ঘটনা সংঘঠিত হওয়ার কারন ও পরবর্তীতে এ ধরনের ঘঠনায় করনীয়সহ মতামত ও সুপারিশ দাখিলের অনুরোধ জানানো হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষে গঠিত কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তানিয়া সুলতানাকে এবং পৌরসভা কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে পৌর কাউন্সিলার জালাল আহমদকে। তদন্ত কমিটি দু’টি কাজ শুরু করেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সুলতান এর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের তদন্ত কমিটির অন্যান্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিয়াউর রহমান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রতিনিধি, পৌর কাউন্সিলার মনবির রায় মনজু, মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রিজ এর প্রতিনিধি মুৃহিম দে ও বিজনেস ফোরামের প্রতিনিধি মোঃ নুরুল ইসলাম কামরান। এই কমিটি চাইলে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডার প্রতিনিধি সংযোজন করতে পারবেন। উল্লেখ-গত ২৮ জানুয়ারী সকাল ১০টার দিকে শহররের এম সাইফুর রহমান সড়কের পিংকী সু ষ্টোর নামক একটি জুতার দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের এ সূত্রপাত ঘটে। এ ঘঠনায় দোকানের ২য় তলায় স্ব-পরিবারে বসবাসরত সুভাস রায় (৬০), তার মেয়ে পিয়া রায় (১৯) ও বোন দিপা রায় (৩৫), দিপ্তি রায় (৪৫) ও বৈশাখী রায় (৩) মৃত্যুবরণ করেন। আগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ৪টি ইউনিট প্রায় ২ ঘন্টা কাজ চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনার পর পরই পুলিশ জোড়ালো ভূমিকা পালণ করে। সাথে সাথে সিআইডি ও ঘটনা স্থলে এসে উদ্বার অভিযানে যোগদেন। পরে একে একে উদ্ধার করে ৫টি লাশ। এ সময় স্থানীয়রা প্রণয় রায় মনা ও মিলনকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মৃতঃ ৫জনের লাশ ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে সৈয়ারপুরস্থ শ্বশান ঘাঠে তাদের দাহ করা হয়।