আগামী ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জলাতঙ্ক ব্যধিমুক্ত করা হবে। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। পাশাপাশি চলছে বিভিন্ন রোগের উপর একের পর এক গবেষণা। চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নতিতে প্রয়োগ করা হচ্ছে গবেষণালব্ধ জ্ঞান। এভাবে পোলিওমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ।
২৭ জানুয়ারী সোমবার সকালে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অফিস কর্তৃক আয়োজিত ২০২০ সালের মধ্যে ‘জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস এসব কথা বলেন।
জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলে সকলের সহযোগিতা কামনা করে এমএ কুদ্দুস আরও বলেন, জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক ব্যাধি যা একবার হলে মৃত্যু অনিবার্য। সাধারণত কুকুরের কামড় থেকেই ৯০ ভাগ জলাতঙ্ক রোগ হয়। কিন্তু কুকুর আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে ও ভিষণ প্রভুভক্ত প্রাণি; বিধায় কুকুর হত্যা করাও সম্ভব নয়। এ অবস্থায় জলাতঙ্ক রোগ যাতে না হতে পারে এবং কুকুরকেও যাতে হত্যা না করতে হয় তার জন্য কুকুরকে টিকা দেবার মাধ্যমে দেশ থেকে জলাতঙ্ক সমস্যা একেবারে নির্মূল করা সম্ভব হবে। টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনের মাধ্যমে আশা করা যাচ্ছে আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই গোটা দেশ থেকে কুকুরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল করা সম্ভব হবে। কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে। কুকুর ছাড়াও বিড়াল, বেজি, শিয়াল বা বানরের কামড়েও জলাতঙ্ক হতে পারে। কুকুরের ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কন্সালটেন্ট ডা. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে ও মেডিকেল অফিসার ডা. ফাতেমা ওয়ালিজা হ্যাপীর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএম জহিরুল হায়াত, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন খান সুফল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা আক্তার, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফারুক আহমেদ, থানা অফিসার ইনচার্জ নাছির উদ্দিন মৃধা, ফতেপুর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, ডা. মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান প্রধান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিডিসি ডিজি এইচএস ভেটেরিনারি অফিসার ডা. দীপ্ত কুমার রায়, এমডিভি সুপার ভাইজার মীর ইমতিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।