আকাশছোয়া স্বপ্ন নিয়ে ইবিতে নবীনদের পথ চলা শুরু


নতুন বছরে নতুন স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পথ চলা শুরু করেছে নবীন শিক্ষার্থীরা। আকাশছোয়া স্বপ্ন ও বুক ভরা আশা নিয়ে সবাই ভর্তি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। দীর্ঘ ১২ বছরের একনিষ্ট অধ্যবসায় শেষে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পদার্পণ করেছে তারা। এ অনুভূতি প্রত্যেকের কাছে স্বপ্নের মত।
এবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ৩৪ টি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন ২৩০৫ জন শিক্ষার্থী। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) নবীন শিক্ষার্থীদের পৃথকভাবে বরণ করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব স্ব  বিভাগ। 
এরই মাঝে বিভিন্ন বিভাগ ভিন্নধর্মী আয়োজনের মাধ্যমে বরণ করেছে নবীন শিক্ষার্থীদের। হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগ, ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বিভাগ, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, লোক প্রশাসন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি বিভাগেই ছিল ছোট বড় এবং মনোমুগ্ধকর আয়োজন। আয়োজনের অংশ হিসেবে পরিচয় পর্ব, শিক্ষার্থীদের অনুভূতি, শিক্ষকদের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য, নবীনদের ফুল, বইসহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী দিয়ে বরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি ছিল উল্লেখযোগ্য।
সকাল ১০টায় বিভিন্ন বিভাগে উদ্বোধনী ক্লাশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন নবীন শিক্ষার্থীরা। সবুজ ছায়ায় আচ্ছন্ন বিভিন্ন আড্ডা স্থান যেমন ডাইনা চত্বর, মফিজ লেক, টিএসসিসি, শহীদ মিনার ও বিভিন্ন ভবনের প্রাঙ্গণসহ পুরো ক্যাম্পাস নবীন-প্রবীণদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ব্যস্ত সবাই। চলছে বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তোলার ধুম।
এদিকে নবীনদের স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। মিছিল শেষে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় তারা।
প্রথম দিনের ক্লাসের অনুভূতি জানতে চাইলে ব্যবস্থাপনা বিভাগের আজমীর হোসেন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ক্লাস করতে পেরে নিজেকে অনকে ধন্য মনে করছি।”
এ বিষয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হওয়া মাছুরা খাতুন নামের নবীন এক শিক্ষার্থী বলেন, “ইচ্ছা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। সেই আশা আনুষ্ঠানিকভাবে পূরণ হলো আজ। বিভাগের শিক্ষক ও বড় ভাই-বোনদের ভালোবাসায় সিক্ত হলাম। অনেক ভালো লাগছে।”
এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগের আশিক নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “পথচলা প্রথম দিনেই বিভাগের বড় ভাইয়ের পক্ষ থেকে বই উপহার পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় যে জ্ঞান-ভান্ডার ও প্রেরণার বাতিঘর তা প্রথম দিনেই উপলদ্ধি করলাম।”