নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরের কদিমচিলান ইউনিয়নের গোধড়া গ্রামের মৃত তহিরুদ্দিনের ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান(৪৭) চার বিঘা জমির পুরাতন আম বাগান ধ্বংস করে পুকুর খনন করছে। ফসলী জমিতে পুকুর খনন না করতে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের। তথাপিও তিনি পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে এই পুকুর খনন চালাচ্ছে বলে প্রচার রয়েছে এলাকাবাসীর কাছে।
অভিযোগ সূত্রে শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, প্রায় ২০ টি পরিপূর্ণ আমের গাছ নষ্ট করে পুকুর খননের কাজ করছে ২৩ জন শ্রমিক। পুকুর খননের মাটি তিনি পাশের ইটভাটায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন ট্রাক্টরযোগে। এলাকাবাসী জানান, তিনি শুধু বাগান নষ্ট করে পুকুর খননই করছেন না, রীতিমতো গ্রামিণ কাঁচা সড়কও ওই ট্রাক্টরের যাতায়াতে নষ্ট হচ্ছে। গ্রামিণ সড়কে প্রতিদিনের ট্রাক্টরের যাতায়াতের ফলে ধুলো ও শব্দে ওই এলাকার জন-জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। শিশুরা সড়কপথে স্কুলে যাওয়া ব্যহত হচ্ছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় দুঃচিন্তায় থাকছেন অভিভাবকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর মধ্যে একজন বলেন, তিনি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তি হওয়ায় ভয়ে কেউ তাকে কিছু বলেন না। রুক্ষ আচরনের কারণে তার কাছ থেকে বিরোধ এড়ানোর চেষ্টা করেন সকলেই। তার বিরুদ্ধে বেড়াতে আসা এক যুবককে মারধোর করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ, ইসলামী জালসার গেট পুড়ানো, বিচারের নামে শারিরীক নির্যাতনসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে।
এবিষয়ে মিজানুর রহমান মিজানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাগানটি আমার, আমি নিজেই পুকুর কাটছি এবং সকলকে ম্যানেজ করে কাটছি।
লালপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা জানান, ভেকু মেশিন ব্যবহার করে মাটি কাটলে সেটা আমরা নজরদারি করতে পারি, কিন্তু শ্রমিক দিয়ে কাটালে সেটা নজরদারীর মধ্যে রাখার কোনো নিয়ম নেই।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার উম্মুল বানিন দ্যুতি জানান, পুকুর খননের সংবাদটি কয়েকজন সাংবাদিক আমাকে অবগত করেছেন। এ বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে প্রয়োাজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।