নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী মহানগরীতে রেলের টেন্ডারবাজি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন রাসেল হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতরা এখনও ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েগেছে। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত শাহীনকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে এক নামের সাথে মিল থাকায় নিরাপরাধ শাহীনকে ওই মামলা গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এরপর থেকেই নিরাপরাধ শাহীন জেলেই রছেছে। মামলার বাদী মনোয়ার হোসেন রণি বলেন, আমরা মামলায় যাদের নাম দিয়েছি, তাদের মধ্যে জেলে থাকা শাহীন নেই। আমরা পুলিশকে বলেছি, ওই শাহীন ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। কিন্তু পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে তার নাম দিয়ে দিয়েছে মামলায়। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর দুপুরে পশ্চিম রেলের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের টেন্ডারবাজি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে রাসেলের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রাজার ওপর হামলা চালানো হয়। তাকে বাঁচাতে গেলে ছুরির আঘাতে জখম হন রাসেল। পরে চিকিৎসাধীন আবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন শিরোইল কলোনী এলাকার ডা. নাসিরের ছেলে শাহীন আহমেদ। কিন্তু পুলিশ ওইদিন সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে একই এলাকার নূর মহাম্মদের ছেলে শাহীনুর রহমান শহীনকে। বাদীর বক্তব্য অনুযায়ী,ঘটনার সঙ্গে জড়িত শাহীনকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। কিন্তু শুধু নামের মিল থাকার কারণে নিরাপরাধ শাহীন এখন জেলে। শাহীনুর রহমানের বাবা নূর মহাম্মদ সরদার জানান, পুলিশ কারও কোনো কথা না শুনেই পাড়ার মোড়ে যাকে পেয়েছে তাকে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। তাদের মধ্যে তার ছেলে শাহীনও ছিলো। শাহীন ঘটনার দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবস্থান করছিলেন। এদিকে মূল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মহানগরী জুড়ে পোস্টার সাটানো হয়েছে। ওই পোস্টারে এই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত দাবি করে ৯ জনের ছবি দেওয়া হয়েছে। ওই ৯ জনের মধ্যে জেলে থাকা শাহীনের ছবি নেই। আছে প্রকৃত অপরাধী শাহীনের ছবি। এবং নিহত রাসেলের পরিবারের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়েছে। সেখানেও হত্যাকারী হিসেবে ডা. নাসিরের ছেলে শাহীন আহমেদের ছবি ব্যানারে ছিল। মামলায় শাহীনুর আলমের আইনজীবী মোকলেসুর রহমান স্বপন জানান, আদালতেও তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে অপরাধী শাহীনকে এনিয়ে কোনো প্রতিবেদন না পাঠানো জন্য মুক্তি মিলছে না নিরাপরাধ শাহীনের। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার উপ-পরিদর্শক রাজু আহমেদ বলছেন, মামলাটির তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়ায় এনিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। নিরাপরাধ শাহীন জেলে কেনো জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন।