মো. আখলাকুজ্জামান, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুরে চাঞ্চল্যকর বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম হত্যা মামলার আসামী আবু হানিফ শেখ (৪৬) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। নিহত হানিফ উপজেলার কালাকান্দর গ্রামের রুহুল শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজহারুল ইসলাম জানান, বৃদ্ধা গৃহবধু মনোয়ারা হত্যাকা-ের ঘটনায় মামলা হলে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় মামলার আসামিদের সনাক্ত করে পুলিশ। পরে সিংড়া সার্কেলের এএসপি মো. জামিল আকতারের নেতৃত্বে গুরুদাসপুর থানা পুুলিশের টিম ২৩ জানুয়ারি রাত ১টায় ঢাকার মেরুল বাড্ডা এলাকা থেকে ভাড়াটে খুনি আবু হানিফ শেখকে গ্রেপ্তার করে। তারই দেওয়া তথ্য মতে রাজধানীর বনশ্রী এবং সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার কল্যাণপুরেও অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরো জানান, ২৪ জানুয়ারি ভোররাতে গ্রেপ্তারকৃত আসামির দেওয়া তথ্যমতে পারগুরুদাসপুর এলাকায় ওই হত্যা মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় পারগুরুদাসপুর-কালাকান্দর সংযোগ সড়কের পার্শ্বে অবস্থিত কলাবাগানে অবস্থানরত মামলার পলাতক আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে আসামি আবু হানিফ পলানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও একটি দেশীয় পাইপগানসহ ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। বন্দুকযুদ্ধে দুই পুলিশ সদস্য এএসআই আবুল কালাম ও এএসআই রুবেল আহত হয়েছেন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। হানিফের বিরুদ্ধে পাশর্^বর্তী বড়াইগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। নিহতের মরদেহ নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারী ভোরে ঘরে ঢুকে পারগুরুদাসপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমকে (৬৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এই মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।#