পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনায় আওয়ামীলীগ নেতা খ.ম. হাসান কবীর আরিফের বিরুদ্ধে একাধিক বার হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে জীবনের নিরপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন তার পিতা খন্দকার আব্দুল মান্নান। সাধারণ ডায়েরীতে তিনি পুত্রের লাইসেন্স করা পিস্তলও জব্দ করার আবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাধারণ ডায়েরী (জিডি) দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানিয়েছেন বিষয়টি তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ছেলে খ.ম. হাসান কবীর আরিফ পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি। তার পিতা খন্দকার আব্দুল মান্নান পাবনার স্বনামধন্য পরিবহন ব্যবসায়ী এবং আরিফ পরিবহণের মালিক।
জীবনের নিরপত্তায় আওয়ামীলীগ নেতার পিতা খন্দকার আব্দুল মান্নান পুলিশের সহযোগীতা চেয়ে লিখিত অভিযোগে জানান, তার পুত্র খন্দকার হাসান কবীর আরিফ সব সময় তার সাথে খারাপ আচরণ করেন। তুচ্ছ কারণে গায়ে হাত তোলেন এবং হত্যার হুমকি দেন। ইতিপূর্বে আরিফ তাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করলে প্রতিবেশীরা এসে রক্ষা করেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে আরিফ কথায় কথায় তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে হত্যার ভয় দেখায়। ইতিপূর্বে একাধিক পরিবহণের কাঁচ ভাংচুর করে বহু টাকার আর্থিক ক্ষতিও সাধন করেছে। ছেলে আরিফের ভয়ে তিনি বাড়ী থেকে বের হতে পারেন না। তার স্বাভাবিক চলাফেরাও বন্ধ হয়ে গেছে। নিরপত্তাহীনতা ও মানসিক ভাবে প্রচন্ড চাপে প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ পরিস্থিতিতে আরিফের লাইসেন্স করা পিস্তল জব্দ করতেও পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), নাসিম আহমেদ সাধারণ ডায়েরী দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গেল ১৩ জানুয়ারী থানায় খন্দকার আব্দুল মান্নান তার ছেলে আরিফের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুসারে অস্ত্র জব্দের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যাপারে খ.ম. হাসান কবীর আরিফ বলেন, আমার পিতার বয়স প্রায় নব্বই বছর। তার পক্ষে এমন জিডি করা সম্ভব নয়। হয়তো কেউ তাকে বিভ্রান্ত করে সাক্ষর করিয়ে নিয়েছে।
সাধারণ ডায়েরীতে তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন তিনি।