রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারীর বিরুদ্ধে অহযোগিতার অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতি। বুধবার ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে অফিসার সমিতির সভাপতি মুক্তাদির হোসেন রাহী ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাব্বেল হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২২ ও ২৩ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই দিনে ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি আহ্বান করা হয়।
এদিকে বুধবার কর্মবিরতি পালনের পর অফিসার সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ব ঘোষিত ২৩ জানুয়ারির কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের অফিস কক্ষে উপ-উপাচার্যদ্বয় ও প্রক্টর মহোদয়ের উপস্থিতিতে উপাচার্য কর্তৃক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস ও কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে অদ্য ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় সমিতির কার্যালয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সম্মানিত সকল সদস্যের সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে চলমান কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়। একইসাথে প্রথম দিনের কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করার জন্য সকল অফিসারদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি ও প্রাপ্যতা নিয়ে অফিসার সমিতি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সাথে আলোচনায় মিলিত হলে প্রায়শঃ তার নিকট থেকে ইতিবাচক কোন উত্তর পাওয়া যায় না। বরং কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, প্রাপ্যতার ফাইলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, উচ্চ আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত করা, পে কমিশনের (২০১৫) প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত করা, প্রাপ্য বেতন ও বকেয়াসমূহ থেকে বঞ্চিত করাসহ অনেক ক্ষেত্রেই বাধাগ্রস্ত করেন। ফলে কর্মকর্তাগণ একদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে কাজের স্পৃহা কমে যাচ্ছে এবং কর্মকর্তাদের মর্যাদাহানি হচ্ছে।
উল্লিখিত বিষয় নিয়ে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী আগামী ২২-২৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা সকাল ১০টা থেকে ১২ পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন।
সমিতির অভিযোগের প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এমএ বারী বলেন, ‘তারা যেসব দাবি নিয়ে আমার কাছে আসে সেগুলো করতে সময় লাগে। কিন্তু তারা কোনো আইন-বিধান মানেন না, মানতে চান না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান অনুসারেই কোনো ফাইলের ব্যাপারে উপাচার্যের কাছে সুপারিশ করে থাকি। নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করার অধিকার আমার নেই।’