রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারীর বিরুদ্ধে অসহযোগীতার অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতি। আগামী ২২-২৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে অফিসার সমিতির সভাপতি মুক্তাদির হোসেন রাহী ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাব্বেল হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবী ও প্রাপ্যতা নিয়ে অফিসার সমিতি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সাথে আলোচনায় মিলিত হলে প্রায়শঃ তার নিকট থেকে ইতিবাচক কোন উত্তর পাওয়া যায় না। বরং কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, প্রাপ্যতার ফাইলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, উচ্চ আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত করা, পে কমিশনের (২০১৫) প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত করা, প্রাপ্য বেতন ও বকেয়াসমূহ থেকে বঞ্চিত করাসহ অনেক ক্ষেত্রেই বাধাগ্রস্ত করেন। ফলে কর্মকর্তাগণ একদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে কাজের স্পৃহা কমে যাচ্ছে এবং কর্মকর্তাদের মর্যাদাহানী হচ্ছে। উল্লিখিত বিষয় নিয়ে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী আগামী ২২-২৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা সকাল ১০টা থেকে ১২ পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন।
জানতে চাইলে অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তাদির হোসেন রাহী অভিযোগ করে বলেন, কাজ বন্ধ করে রেজিস্ট্রার দপ্তরে যাওয়ায় উপাচার্য তাদেরকে শো-কজের হুমকি দিয়েছেন। উপাচার্য আমাদের পদোন্নতিও কেড়ে নিবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।
হুমকির বিষয়ে জানতে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আব্দুস সোবহানের মুঠোফোনে ফোন কল ও এসএমএস পাঠিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
সমিতির অভিযোগের প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এমএবারী বলেন, তারা যেসব দাবি নিয়ে আমার কাছে আসে সেগুলো করতে সময় লাগে। কিন্তু তারা কোনো আইন-বিধান মানে না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান অনুসারেই কোনো ফাইলের ব্যাপারে উপাচার্যের কাছে সুপারিশ করে থাকি। নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করার অধিকার আমার নেই।