ইয়ানূর রহমান : পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ’র শ্যামাপ্রসাদ আবাসিক হোটেলে যশোরের গৃহবধু আসামা খুন হয়েছে। নিহত আসামার বাড়ি যশোর সদর উপজেলার আরবপুর গ্রামে।
হোটেলের একটি সুত্র জানান, বুধবার দুপুরে স্বামী মহম্মদ আবুল কাশেম স্ত্রী ও আরও এক মহিলা আত্মিয়াকে নিয়ে ওই হোটেলে ওঠেন। হোটেলের দুই নম্বর রুমে আসমাকে নিয়ে থাকেন তার স্বামী এবং পাশের ছয় নম্বর রুমটিতে ওঠেন মনোয়ারা বেগম নামে এক নারী। তিনি আসমার আত্মীয় বলে নিজেকে পরিচয় দেন।
বাংলাদেশি এ নারীর লাশ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের বনগাঁ’য়।
বনগাঁ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খাটের উপর থেকে উদ্ধার করা হয় আসমার লাশ। এ সময় তার চোখে-মুখে রক্তের দাগ এবং জীব বের হওয়া অবস্থায় ছিল। গলায় পেঁচানো ছিল ওড়না। তাই প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
ঘটনার
পর থেকেই তার স্বামী পলাতক। বৃহস্পতিবার দুপুরে বনগাঁ বাটার মোড়ে অবস্থিত
‘শ্যামাপ্রসাদ লজ’ থেকে আসমার লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিন দুপুরে রুম
পরিষ্কার করতে গিয়ে রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয় এক
কর্মচারীর। তিনি হোটেলের মালিককে বিষয়টি জানান। খবর দেওয়া হয় বনগাঁ
থানাতেও। খবর পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিশ গিয়ে বাইরে থেকে তালা ভেঙে ভিতর ঢুকে
লাশটিকে উদ্ধার করে এবং রুমটিতে তালা মেরে দেয়।
ওই ঘটনার পর থেকে আসমার
স্বামী মহম্মদ আবুল কাশেম পলাতক। যদিও আসমার আত্মীয় বলে পরিচয় দেওয়া
মনোয়ারা বেগমকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসা করেই এই মৃত্যুর রহস্য
কিনারা করতে চাইছে পুলিশ ৷