ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে আদালতের আদেশ মেনে আন্দোলন থেকে সরে ৩০ জানুয়ারির (বৃহস্পতিবার) ভোটে সবাইকে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ভোটের তারিখ নিয়ে কোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, আমি মনে করি তা মেনে চলা উচিত।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ অনুরোধ জানান।
এ সময় স্বরস্বতী পূজার দিন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সতর্ক থাকা উচিত ছিলো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সতর্ক অবস্থানে আছে। আচরণবিধি মেনে চলতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বিদেশি এক সংস্থার জরিপে দেখা গেছে সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। দেশ ঠিকভাবেই চলছে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওপর সরকারের কোন বাঁধা বা চাপ নেই। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি না করতে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন চাইলেই আইন প্রয়োগ করতে পারে।
প্রসঙ্গত, সরস্বতী পূজার দিন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ হওয়ায় তা পরিবর্তনের আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনটি মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আদালত আদেশে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৯ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে। সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারেও ২৯ তারিখ ছুটির কথা বলা আছে। আর নির্বাচন কমিশন ৩০ তারিখ ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে। তার দু’দিন পর (২ ফেব্রুয়ারি) এসএসসি পরীক্ষা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভোটের তারিখ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই, তাই আবেদনটি সরাসরি খারিজ করা হলো।
আগামি ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা থাকায় ভোটের তারিখ পরিবর্তনের জন্য আদালতে এই রিট আবেদন করেন আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ। তার যুক্তি ছিল, ইসির ঘোষিত নির্বাচনের তারিখ সংবিধানে বর্ণিত প্রত্যেক নাগরিকের ধর্ম পালনের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।