গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গরু চুরির অভিযোগে মধ্যযোগিয় কায়দায় শিশু নির্যাতন মামলার চার আসামির জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়ে বিজ্ঞ বিচারক। গতকাল মঙ্গলবার মামলার আসামিরা গাইবান্ধা চিফজুটিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করে। শুনানি শেষে মামলার আসামি আইজল ইসলাম, রিয়াজুল ইসলাম, ফজল মিয়া ও নাজমুল ইসলামের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নিদের্শ দেন বিচারক। বাকি আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়েছে।
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে একই গ্রামের নজু মিয়ার গরু চুরি অপরাধে স্থানীয় রিয়াজুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম, ফজলু মিয়া শিশু রাফিকুল ইসলামকে (১৪) বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং রাতে ফজলের বাড়িতে রেখে দেয়। পরদিন শনিবার সকালে স্থানীয় তনু প্রামানিকের বাড়ির উঠানে বৈঠক বসে। সেখানে সালিশী সিদ্ধান্ত মোতাবেক চুরির অপরাধে রাফিকুলকে বেঁধে পায়ের তালায় পিটানো হয়। পরে অসুস্থ রাফিকুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় স্বজনরা। রাফিকুল ইসলাম ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। রাফিকুলের পরিবারের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জেরধরে রাতে জোর করে তাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতে এক দফা মারধর করে ফজলের ঘরে বন্দি করে রাখে। পরদিন সালিশী বৈঠকে মধ্যযোগিয় কায়দায় তাকে পিটানো হয়। ফেসবুকে সালিশ বৈঠকে শিশু রাফিকুলকে নির্যাতনের ছবি ভাইরাল হলে বিষয়টি প্রশাসনসহ সকলের নজরে আসে। এনিয়ে সোমবার দিবাগত রাতে রাফিকুলের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে ১৩ জন নামীয় এবং ১০ হতে ১২ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা করে। রাতেই পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে এর মধ্যে হতে একজন জামিনে মুক্ত হয়েছে। মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মোস্তফা মিয়া জানান, ১৩ জন আসামির মধ্যে ৯ জন আসামি জামিনে মুক্ত হয়েছে বিষয়টি আমি জেনেছি, তবে এখন পর্যন্ত আদালতের কোন কাগজপত্রাদি পায়নি।