কোর্ট রিপোর্টারঃ নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার এস আই নাছির আহম্মেদ (৩৩) জেলা হাজতে। জেলা পাবনার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, পাবনার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওলিউল ইসলাম গতকাল (১৩ জানুয়ারি )তাকে জেল হাজতে পাঠান। মামলা সুত্রে জানা যায়, পাবনা শহরের কাচারীপাড়া মহল্লার মোস্তাক আহম্মেদের ছেলে এস আই পদে কর্মরত নাছির আহম্মেদ (৩৩) এর সাথে পাবনা সদর উপজেলার আশুতোষপুর ,বলরামপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম এর মেয়ে রুবিনা আক্তার রুনা এর বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন যৌতুকের জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃস্টি করে। মাঝে মাঝে মানষিক নির্যাতন এবং শারীরিক ভাবে মারপিট করে। সকল নির্যাতন সহ্য করে স্বামীর ঘর করতে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ২২ মার্চ নাছির আহম্মেদের পূর্বের কর্মস্থল রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানাধীন মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি হতে স্ত্রী রুবিনা আক্তার রুনা কে সকাল ৯ টার দিকে পাবনা কাচারীপাড়াস্থ নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে। একই দিন সকাল ১০ টায় তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী এস আই নাছির আহম্মেদ বাবা-মা এবং বোনকে নিয়ে যৌথভাবে রুবিনা আক্তার রুনাকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে। খবর পেয়ে রুবিনার বাবা সাইফুল ইসলাম জামাই বাড়ী আসেন । বাবার সামনেই রুবিনাকে পুনরায় মারপিট করে বাড়ী থেকে বের করে দেয় উক্ত এসআই। বাবা নিরূপায় হয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় মেয়েকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন । স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংশার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়ে এ ঘটনায় জেলা পাবনার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পাবনায় রুবিনার বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে নাছির আহম্মেদ সহ তার বাবা-মা এবং বোনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৮৯/২০১৯। মামলায় নাছির আহম্মেদ গং এর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুকরা হয়। গতকাল অভিযুক্ত আসামি ( বর্তমানে) ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় কর্মরত এস আই নাছির আহম্মেদ আদালতে আতœসমর্পন করলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন