সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গা হীম করা কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আজ বৃহস্পতিবার সকালটাও ছিল বৃষ্টি ভেজা। মাঝখানে একটু রোদ্দুর।
তারপর আবার মেঘলা আকাশ। শীত-বৃষ্টির অসহনীয় মাত্রায় ব্যাহত হচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন কাজ। এ অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে শীতকালীন ফসলেরও।
এদিকে, তীব্র শীতে কর্ম করতে না পারায় বেকায়দায় পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। দিনমজুর মো. নুর ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দিনে আনি, দিনে খাই। শীত বেশি হওয়ায় মাঠে কাজে যেতে পারছি না।
এ অবস্থায় পরিবার ছেলে-মেয়ে নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছি।
উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। এভাবে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে বাড়বে ঠান্ডাজনিত রোগ-বালাই। আমরা পর্যাপ্ত ওষুধসহ প্রস্তুতি নিয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, অধিক বৃষ্টি ও শীত-কুয়াশার সময়ে বীজতলা ও শীতকালীন ফল-ফসল রক্ষায় কৃষকদের একটু সচেতন হতে হবে। সঠিক নিয়েমে পলিথিন ব্যবহার বীজতলা রক্ষা করা সম্ভব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পাল সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভান্ডার ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে প্রাপ্ত কম্বল শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। সুবিধাবঞ্চিতদের কেউ যেন শীতে কষ্ট না পায়, সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।