মাথায় নানা ধরণের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভুল ডায়াগনস্টিক। সেই অনুসারেই চিকিৎসা চালাতে গিয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতি। যখন মূল সমস্যা নির্ণয় হল তখন চিকিৎসা খরচ যোগাতে শঙ্কা!এমন অবস্থায় বর্তমানে চিকিৎসা করিয়ে নিজকে সুস্থ্য করতে প্রয়োজনীয় অর্থাভাবে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে নাটোরের এক শিক্ষত যুবকের।নাটোর সদর উপজেলার পাইকেরদোল এলাকার সাহেব আলীর ছেলে বাবলু রহমান। কৃষকের সন্তান বাবলুকে বাবা-মা অনেক কষ্টে এমএ পাশ করানোর পর তারা স্বপ্ন দেখতে থাকেন সুন্দর ভবিষ্যতের। এক পর্যায়ে কোন বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে পরীক্ষা আর চেস্টার পরও চাকুরী না হওয়ায় জীবিকার তাগিদে যোগদান করেন একটি এনজিওতে।বাবলু জানান, প্রায় দেড় বছর আগে তার সমস্যা দেখা দেয় মাথায়। তিনি ভর্তি হন নাটোর সদর হাসপাতালে। এরপর সেখান থেকে তাকে রেফার্ড করা হয় রাজশাহীতে। এক পর্যায়ে আত্মীয় ও শুভাকাঙ্খিদের পরামর্শে তিনি ভর্তি হন রাজশাহী পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে পরীক্ষা করে তাকে বলা হয় তার ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে। বেশ কিছুদিন সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ না হওয়ায় তিনি ঢাকার নারায়নগঞ্জ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হলে সেখানে পরীক্ষা করে তাকে জানানো তিনি খিঁচুনিতে আক্রান্ত হয়েছেন। দীর্ঘদিন সেখানেও চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ্য হননি।অবশেষে ভারতের কোলকাতা এ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করিয়ে তাকে বলা হয় তার ব্রেন টিউমার হয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে অপারেশন করাতে হবে যার খরচ বাংলাদেশী টাকায় খরচ হবে প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা।বাবলু জানান, ইতোমধ্যেই তিনি নিজের বিভিন্ন সম্পদ আর ধার করে প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ করেছেন। এখন তিনি নি:স্ব। এ অবস্থায় অপারেশনের টাকা যোগার করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে তিনি তার চিকিৎসা ও সুস্থ্য হওয়া নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।স্থানীয় হরিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান গণি ভুঁইয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে তাকে সহায়তার জন্য সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। সহযোগীতার জন্য নারানগঞ্জএর নবাবগঞ্জ শাখা সোনালী ব্যাংক সঞ্চয় হিসাব নং ৩৬১২৯০১০০৯৭, বিকাশ (পারসোনাল) মোবাইল নং ০১৭২৫-৬২২৪৭৪ ।