এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি হজের সুযোগ পাবেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির পঞ্চম বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী জানান, সৌদি আরব ও বাংলাদেশ সরকারের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করা হবে। হজ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য হজ ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হয়েছে।
এছাড়া কমিটি প্রতিটি সংসদীয় আসনে মসজিদের মেরামত বা সংস্কার করার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে বার্ষিক ১০ লাখ টাকা, মাদরাসার জন্য ৫ লাখ টাকা এবং মন্দিরের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করেছে।
বৈঠকে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ট্রাস্টি বোর্ড গঠন ও কল্যাণ ট্রাস্ট্রের জন্য নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য স্থায়ী জমি বরাদ্দ করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ওয়াকফ সম্পত্তির ওয়াকফ আওলাদ ও ওয়াকফ লিল্লাহর পৃথক তালিকা আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এছাড়া এ বছর শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন মক্কা রুটের মাধ্যমে ঢাকায় সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, জিন্নাতুল বাকিয়া, তাহমিনা বেগম এবং রত্না আহমেদ অংশ নেন। এছাড়া বৈঠকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।