গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ইমারত নির্মাণ শ্রমিক উত্তম কুমার হত্যার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন ও এলাকাবাসি। বৃহস্পতিরার দুপুরে উপজেলার বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বরে দুই ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে। মানববন্ধন চলাকালিন সময়ে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা জাপার সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান মন্ডল, প্যানেল মেয়র মশিউর রহমান, কাউন্সিলর এমদাদুল হক, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি লাভলু মিয়া, উত্তমের ভাই গোপাল চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ। বক্তাগণ আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে আসামি সনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। তা না হলে বৃহত্তর কর্মসুচি ঘোষনা করা হবে।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৬টার সময় পৌর সভার ৬নং ওয়াড়ের তাঁতীপাড়া মহল্লার রাজমিস্ত্রী উত্তম কুমারকে (৩০) তার নিজ শয়ন ঘরে অজ্ঞাতনাম ৩জন যুবক গলাকেটে হত্যা করে মেঝেতে ফেলে রেখে বাহির থেকে ঘরের দরজা আটকিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘরে ভিতরে থাকা উত্তমের স্ত্রীর হাত,পা এবং মুখ বাধা ছিল। বাড়ির পাশ্বেই হরিসভা চলার কারনে পরিবারের কোন সদস্য বাড়িতে ছিল না। ঘরের মধ্যে চেচামেছি শুনতে পেয়ে প্রতিবেশি জোসনা রানী দেবনাথ হরিসভায় উত্তমের বাবা মাকে খবর দেয়। ছুটে উত্তমের মা বৌমার চেঁচামেছি শুনতে পেয়ে চিৎকার করতে থাকে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে ঘরের টিনের বেড়া ভেঙে উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এসময় উত্তম রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিল। উত্তম ওই মহল্লার নিবারন চন্দ্রের ছেলে। দীর্ঘ এক বছর পূর্বে প্রতিবেশি সুকুল চন্দ্রের কন্যা ললিতা রানীর সাথে উত্তমের বিয়ে হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানী জানান ৩ জন অপরিচিত যুবক ঘরে প্রবেশ করে তার স্বামীর সাথে রাজমিস্ত্রীর কাজ নিয়ে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে তার হাত, পা এবং মুখ বেধেঁ ফেলে। এরপর তার স্বামীকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তিনি ওই যুবক ৩জনকে চেনেন না। তবে তাদেরকে দেখলে চিনেবে । রাতেই অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান, পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ লাশের সুরুতহাল রির্পোট করেছে। গতকাল বুধবার লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এনিয়ে উত্তমের বড় ভাই গোপাল চন্দ্র দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞতানামা ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে। ওসি আব্দুল্লাহিল জামান জানান তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।