বগুড়ার গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর উত্তরপাড়ায় আব্দুল খালেকের বসতবাড়ি ভাংচুর করে গোটা পরিবারকে পথে বসিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। প্রচন্ড শীতে খোলা আকাশের নিচে তারা রাত দিন কাটাচ্ছে। স্ব শস্ত্র সন্ত্রাসীদের বাঁধা দিতে এসে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আব্দুল খালেক। এ ব্যাপারে গাবতলী থানায় ১৪ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মামলায় অভিযোগ করা হয় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় শফিকুল, খলিল, আবু তাহের, শাহাদাত, আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে ২৫/৩০জন সন্ত্রাসী আব্দুল খালেকের বসতবাড়িতে হামলা করে মারপিট করে বাড়ি থেকে সকলকে বের করে দিয়ে ধংসযজ্ঞ চালায়। এ ঘটনায় ওই পরিবারের প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।
সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় প্রতিপক্ষের লোকজন আব্দুল খালেকের বাড়ির ৫টি ঘর, ঘরের আসবাবপত্র ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, আব্দুল খালেক (৫০)পিতা মৃত: নাজিমুদ্দিন দুই বছর আগে বাড়িটি নির্মাণ করেন। এরপর একই গ্রামের মো: খলিল প্রামানিক (৫৫) পিতা মৃত ইয়াজ উদ্দিন ওই জমির মালিকানা দাবী করে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। সমাধান না হওয়ায় গত রবিবার সকালে সন্ত্রাসী কায়দায় আসামীরা জমি দখলে নিতে ওই বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করে। ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সেকেন্দার আলীর নির্দেশেই আসামীরা এ হামলা চালায়। তবে ইউপি চেয়ারম্যান জানান, আব্দুল খালেকের বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। অপরাধী যেই হোক তিনি তাদের শাস্তি দাবী করেন। গাবতলী থানার ইন্সেপেক্টর অপারেশন মো: আব্দুল গনি জানান, উক্ত ঘটনায় এজাহার নামীয় আসামীদের মধ্যে ২জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং অপর আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।