রাজশাহীতে পাটকল শ্রমিকদের দ্বিতীয় দিনের অনশনে এমপি বাদশা

জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে থাকা কাটাখালী অবস্থিত পাটকল শ্রমিকদের পাশে থেকে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন,চাকরি জীবনে অনেক সরকারি কর্মকর্তা অনিয়মে জড়িয়ে পাপ করেছেন। কিন্তু শ্রমিকরা কখনও অন্যায় করেননি। তারা পবিত্র। শ্রমিকদের এই অসময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে কর্মকর্তাদের পাপ মোচনের এখনই সময় এসেছে। শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে নিজেদের পাপ মোচন করা উচিত। সোমবার সকালে রাজশাহী পাটকলের আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। দাবি আদায়ে শ্রমিকরা দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এর আগে রোববার দুপুর থেকে রাষ্ট্রায়াত্ব এই পাটকলের শ্রমিকরা অনশন শুরু করেন। ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, মন্ত্রণালয়ে এবং বিজেএমসিতে কিছু শ্রমিক বিরোধী লোক রয়েছে যারা শ্রমিকদের স্বার্থের কথা ভাবেন না। নিজেদের স্বার্থ দেখতে গিয়ে তারা শ্রমিকদের যুক্তিসঙ্গত দাবি মেনে নিচ্ছেন না। অথচ এই শ্রমিকরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই যে সকল কর্মকর্তারা এই দাবিকে সমর্থন করছেন না বা পাশে থাকছেন না তাদের উচিত এখন শ্রমিকদের পাশে থাকা। তিনি আরো বলেন,আন্তর্জাতিক বাজারে পাটজাত দ্রব্যের যে দাম সেই দামের সাথে মিল রেখে রাষ্ট্রায়াত্ব শিল্প-কারখানার উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করলে শ্রমিকরা নায্য বেতন ভাতা পাবেন। তাহলে তাদের এই শীতের মধ্য আন্দোলন করতে হতো না। কিন্তু কিছু আমলারা নিজেদের স্বার্থের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। আর এর ফল ভোগ করছেন সাধারন মেহনতি শ্রমিক। এবং প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। বাদশা এ সময় তার সাথে ছিলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর সম্পাদক মÐলির সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ফেরদৌস জামিল টুটুল, সাধারণ সম্পাদক অসিত পাল, সহ-সভাপতি সিরাজুর রহমান খান, কাটাখালি পৌর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলাল মোল্লা প্রমুখ। উল্লেখ্য,মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) সিদ্ধান্ত বাতিল, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পিএফ গ্রাচ্যুইটির টাকাসহ ১১ দফা দাবিতে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করেন রাজশাহী ও খুলনার পাটকল শ্রমিকরা। পরে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে গত ১৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এর ফলে রোববার থেকে আবারও আমরণ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।