নওগাঁর সাপাহার এর পার্শ্ববর্তী ঘোলাদিঘী গ্রামের এক অসহায় কৃষক প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বোচ্চ হারিয়ে পথে পথে ঘুরছে।
পত্নীতলা উপজেলার ঘোলা দীঘি গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আব্দুল লতিফ ২০১২ সাল হতে চট্টগ্রাম জেলার পাঁচলাইশ উপজেলা নাজির পাড়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেম এর পুত্র ফরহাদ উদ্দীন এর সাথে আমের ব্যবসা বন্ধুত্বের সাথে শুরু করে, এরই ধারাবাহিকতায় চালাক চতুর ফরহাদ উদ্দীন আব্দুল লতিফকে প্রস্তাব দেয় বড় ধরনের একত্রিত জমি লিজ নিয়ে একসঙ্গে আম বাগান করার। প্রস্তাবটি মেনে নিয়ে আব্দুল লতিফ ২০১৩ সালে সাপাহার উপজেলার গোডাউন পাড়া গ্রামের নিকটবর্তী পুরাতন সাপাহার ১৩৪ নম্বর মৌজায় প্রথম ২৬ বিঘা জমি লিজ নিয়ে নিজের খরচে ৯৩০০ টি গাছ লাগিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা করে। উক্ত ২৬ বিঘা জমির মালিকের সাথে ২০,২৮,০০০/= হাজার টাকা কিস্তি হিসেবে চুক্তি হয়। যা প্রথম কিস্তি আব্দুল লতিফ ৫ লক্ষ ৭ হাজার টাকা নিজে দেন। পর্যায়ক্রমে ওই মৌজায় একই সাথে ৫৬ বিঘা জমি চালাক চতুর ফরহাদ উদ্দীন তার নামে ডিড করে নেয়, অনেক চাপাচাপির পর ২৬ বিঘা জমি আব্দুল লতিফ এর নামে ডিড করে দেয়। ২০১৪ হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর আম আব্দুল লতিফের সরলতার সুযোগে তার নিজের এস কে ফল ভান্ডার চট্টগ্রামে হাতিয়ে নেয়। এবং ২০১৮ সালে তার নিজ এলাকা হতে নিজামুদ্দিন নামে একজনকে বাগান দেখাশুনার জন্য পাঠিয়ে দেয়, সে এসে আব্দুল লতিফ এর সাথে খারাপ আচরণ ঝগড়াঝাঁটি শুরু করে এবং দ্রুত বাগান ছেড়ে যেতে বলে,বাগান না ছাড়লে ক্রোস ফায়ার করে তোমাকে, তোমার ছেলেদের কে বাগান ছাড়াতে বাধ্য হবো বলে হুমকি দেয়। বাগানের পাওনা টাকা, বাগানের চুক্তি নামা, এবং থানা থেকে শুরু করে প্রতারক ফরহাদ উদ্দীন আদালতে আঃ লতিফ কে ঘায়েল করার জন্য একাধিক মামলা দায়ের করেন,মামলার রায় আঃ লতিফের পক্ষে আসে,যাহার প্রমান পত্র রয়েছে,এ সকল হতে বঞ্চিত,করার চেষ্টা করিলে আব্দুল লতিফ নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন।