রাজনগরে প্রতিপক্ষের ষড়যন্তের কারণে ডাকাতির মামলায় প্রায় ১ মাস যাবৎ কারাগারে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার বরাবর এ ঘঠনার সুষ্ট তদন্ত ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ ও পৃথক পৃথক গণ স্বাক্ষর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে- গত ১৭ নভেম্বর রাজনগর থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করিয়া ২নং উত্তরভাগ ইউনিয়নের হায়পুর গ্রামের মৃতঃ শাহ আনজব আলীর ওমান প্রবাসী পুত্র বেলাই@ আলম@ শাহ আলম ও নিজগাঁও গ্রামের মৃত ঃ তেরাব আলী (সামাই মিয়া) এর পুত্র মোঃ বুদন মিয়াসহ ৪জনকে ডাকাতি প্রস্তুতির ঘটনায় আটক করে। এ ঘঠনায় রাজনগর থানায় একটি ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা ( নং- ১১, তারিখ ১৮/১১/২০১৯ইং মামলা দায়ের করা হয়। শাহ আলম এর বোন হাছিনা বেগম জানান- আমরা একটি রক্ষণশীল পরিবারে বসবাস করে আসছি। শাহ আলম (৩৫) দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ জীবিকার টানে ওমান, মসকত শহরে কাজ করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার্জন করে আসছেন। মা-মাটির টানে ঐ প্রবাসী ভাই বাংলাদেশে আসলে নিজের বাড়ীতে এলাকার কিছু দুষ্ট ষড়যন্তকারীদের কারণে প্রাণ ভয়ে থাকতে হয়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে বড় অংকের আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। তাছাড়া, পুলিশ জব্ধ তালিকায়, যে মালামালের বিবরন উল্লেখ করেছে তা সঠিক নয়। জব্ধ তালিকায় যে সমস্ত স্বাক্ষীদের নাম উল্লেখ করেছে তাও সত্য নহে। ডাকাতি প্রস্তুতি মামলাটি সাজানো তার একাধিক প্রমানের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য প্রমান হল, ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা ( নং- ১১, তারিখ ঃ ১৮/১১/২০১৯ইং) ৬নং আসামী মুশুরিয়া গ্রামের আঃ মালিক এর পুত্র সাচ্চু মিয়া @ সাচন। সে বর্তমানে ( মামলা নং- দায়রা জজ- ৬৬/২০১৭ দীর্ঘ দিন যাবৎ জেলা কারাগারে কারাবরণ করছে। তিনি আরো বলেন- আমাদের প্রতিপক্ষ উত্তরবাগ ইউনিয়নের উত্তরবাগ, হায়পুর গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর পুত্র শাহ আরব আলী, শাহ মসকন্দ আলীর পুত্র শাহ মইদ আলীসহ প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট যোগাযোগী মূলে একই ভাবে প্রবাসী শাহ আলমকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা (গায়েবী মামলা ) দিয়ে হয়রানী করে আসছে। ঐ রাতে রাজনগর থানার পুলিশসহ তাদের সাথে থাকা লোকজন ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। দালান নির্মানের কাজে ব্যবহারের জন্য প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মালামাল ও নিয়ে যায়। অপর আসামী বুদন মিয়ার স্ত্রী জানান- প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট যোগাযোগী মূলে ঘঠনার সুস্ট তদন্ত, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ স্বাক্ষী, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা, আমাদের সামাজিক অবস্থান বিশ্লেষন না করেই অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ করছেন। বুদন মিয়া এলাকায় একজন স্পস্টবাদি, অন্যায়ের প্রতিবাদকারী হিসাবে পরিচিত মুখ। তিনি ডাকাতির কাজে জড়িত থাকতে পারেনা। তাছাড়া তিনি পশ্চিম খাসমহল দুররে সামাদ রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সর্বোচ্চ ভোটে বিজনী ১নং অভিবাবক সদস্য। বিষয়টি অতি গোপনে নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করলে ঘঠনার সত্যতা বেরিয়ে আসবে।