বিশ্বের বিখ্যাত বিভিন্ন প্রজাতির সৌদি আরবের খেজুরের চারা উৎপাদন করে সাফল্য দেখিয়েছেন পাবনার সাঁথিয়ার মাহিন উদ্দিন। তার নার্সারীতে এখন ১৫০০ গাছের পরিচর্জা চলছে লাগানোর উপযুক্ত করতে।
সরেজমিনে নার্সারী ঘুরে দেখা যায়, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আর.আতাইকুলা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মৃর্ধাপাড়া গ্রামের মাহিনউদ্দিন পেশায় একজন ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি। ময়মনসিংহের খেজুর বাগানের প্রতিবেদন দেখেন টেলিভিশনে। প্রতিবেদন দেখেই সাধ জাগে নার্সারী ও বাগান করতে। ছোট ভাই মিজানুর রহমান চাকুরী নিয়ে থাকেন সৌদিআরবে। ছোট ভাইকে মোবাইল ফোনে জানান নিজের সখের কথা। ছোট ভাই মিজানুর রহমান বড় ভাইয়ের সখ পুরণ করতে দেশে পাঠান খেজুর বীজ ও সাথে চারা উৎপাদনের সকল কেমিক্যাল, হরমন ও ম্যাটিরিয়ালস। মাহিনের কোম্পনীর চাকুরী জেলার বাইরে। ছুটি খুবই কম পান। নিজের সখের সাথে যোগ করেন স্ত্রী শিফা খাতুনকে। স্ত্রী শিফা খাতুন স্বামীর শখ পুরনে আত্ম নিয়োগ করেন সানন্দে। মিজানুরের পাঠানো নিয়মানুযায়ী পলিথিন ও মাটির পাত্রে বালি, মাটি, গোবর ও রাসায়নিক মিশ্রিত করে খেজুর বীজ বপন করেন। পুরো নার্সারীতে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে শিশির রোধ করতে। চারা বেড়ে উঠেছে। রোগবালাই সম্পর্কে মাহিন জানান, সৌদি আরবের এ খেজুর গাছে মূলত গোড়া পচন রোগ লেগে মারা যায়। তবে সময়মত প্রতিশোধক দিতে পারলে সফল হওয়া যায়। তিনি আরো বলেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নিজের জমিতে লাগিয়ে চারা বিক্রি শুরু করবেন। মাহিন প্রতিবেদককে জানান মরিয়ম, আজওয়া জাতের খেজুরের চারা উৎপাদন করছেন। মাত্র তিন মাসেই ভিন দেশীয় মরু ভূমির আরব খেজুর চাষে তিনি সফলতা দেখছেন বলে মনে করেন।