বাস থেকে যাত্রীকে ফেলে হত্যা, হেলপার ও সুপারভাইজার গ্রেফতার

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি:: ঈশ্বরদীতে ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার ঘটনায় হেলপার ও সুপারভাইজার গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা সদর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল শনিবার সকালে মো. সুমন হোসেন (৩৫) নামের ওই যাত্রীকে হত্যার ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী রুমা বেগম।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকা-প্রাগপুর-গাংনী রুটে চলাচলকারী সুপার সনি পরিবহনের হেলপার কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলরে ছেলে নাসিম (২০) ও সুপারভাইজার একই উপজেলার গোড়ারপাা গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে রোকনুজ্জামান রোকনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে চালক এখনো পলাতক রয়েছে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা রুপুপর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ বিকাশ চক্রবর্তী।তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে লালন শাহ সেতুর টোল প্লাজার কাছে বাস থেকে যাত্রী ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীর ঝাউতলা এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে সুমন হোসেনকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে ওই বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারের বিরুদ্ধে। পরে নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে ঈশ্বরদী থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় আরও তদন্ত ও গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাসের যাত্রীর সাথে ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় হেলপার ও সুপারভাজারের। পরে যাত্রী সুমন বাস থেকে নেমে যেতে চাইলেও তাকে নামতে না দিয়ে বাসের মধ্যে মারধর করা হয় বলে সুমন মোবাইলে বাড়ির লোকজনকে অবহিত বিষয়টি করেন।
এরপর রাত ৯টার দিকে বাসটি লালন শাহ সেতু পার হয়ে টোল প্লাজার কাছে তাকে জোরপূর্বক চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। সে সময় সুমন ওই বাসের নিচেই চাপা পড়ে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে আহত সুমনকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে রাজশাহী মেডিকেলে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুমনের মৃত্যু হয়

#