ইছামতি নদীর পাড় ছেড়ে দিচ্ছেন পাবনাবাসী

সাবাস পাবনাবাসী সাবাস। ইছামতি নদীর দু‘পাড়ে বসবাসকারীরা নিজেদের পাকা ঘরবাড়ী, দোতলা, তিন তলা পাকা বিল্ডিং নিজ খরচে সরিয়ে নিয়ে ইছামতি নদীর জায়গা খালি করে দিচ্ছেন। শনিবার দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার কাচারীপাড়া মহল­ার কদমতলা ব্রিজের দু‘পাশে এ দৃশ্য দেখা যায়। ব্রিজ সংলগ্ন “পারভেজ নিবাস ” এর মালিক সাবেক তহশিলদার টিপু জানান, ইছামতি নদীর দু‘পারের জায়গা খালি করার জন্য প্রশাসন থেকে মাইকিং করা হয়েছে। মাইকিং এ বলা হয়েছে আগামী ২৩ ডিসেম্বর/১৯ থেকে প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালাবে। এ মাইকিং হওয়ার পর আমরা আমাদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার দ্বিতল ভবন নিজেরাই ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতেই এ কাজ করছি। ব্রিজের বাম পাশের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমানুল­াহ খান বলেন, আমার দোতলা ভবনের অনেকাংশ আমি নিজ খরচে সরিয়ে নিচ্ছি। একটু সময় লাগবে। তবে তাদের সবাইর দাবী ইছামতি নদী প্রবাহমান করা হউক। এ জন্য তারা আরও ত্যাগ স্বীকারেও প্রস্তুত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার সভাপতি এস এম মাহবুব আলম এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব।
প্রসঙ্গত: ঐহিত্যবাহী ইছামতি নদী প্রবাহমান করতে স্কয়ার ট্রয়লেট্রিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীরমুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু , বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোস্তাফিজুর রহমান সুইট, ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন , নদী বাঁচাও আন্দোলন সহ বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে পাবনা শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতি নদী প্রবাহমান করতে বিভিন্ন ভাবে আন্দোলন করে আসছেন। মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ, কাপনের কাপড় পড়ে মানববন্ধন, নদীপাড়ে অনশন, গণস্বাক্ষর, গণসমাবেশ লিপলেট বিতরণ ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে। এ সব কর্মসূচীতে পাবনা-৫ আসনের সদস্য সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, সাবেক প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নু, তৎকালিন জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো, সাবেক জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, সাবেক পুলিশ সুপার জেহাদুল ইসলাম ( বর্তমানে এ আইজি), বর্তমান পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস ( পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার), জেলা পরিষদের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাহাতাব উদ্দিন বিশ্বাস, সাংবাদিক, আইনজীবী, বীরমুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি, সমাজ সেবক, সদর উপজেলার সকল কলেজ, স্কুল এর শিক্ষক মন্ডলী , শিক্ষার্থীরা সর্বপরি আবাল বৃদ্ধ সকলেই বিভিন্ন সময়ে ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলনের ডাকে মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে ইছামতি নদী প্রবাহমান করার জোর দাবী করেছেন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর সারা দেশের ন্যায় পাবনাতেও ইছামতি নদীর দু‘পাড়ের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে। এ দিন সকাল ১০ টায় ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন কারীদেরকে যথাসময়ে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম পাবনা শাখার পাশে ছোট ব্রিজের পাশে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করেছেন শাখার সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক।