রাজশাহীতে বালু উত্তোলনের জন্য পদ্মা নদীর একটি অংশ ভরাট করছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। ট্রাক চলাচলের জন্য রাস্তা তৈরি করতে এরই মধ্যে নদীর দুই তীর থেকে ২শ’ গজের মতো ভরাট করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতার নাম আজিজুল আলম বেন্টু। সে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বালুঘাট মহানগরীর তালাইমারী এলাকায়। এর আগে তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্টান মেসার্স আমিন ট্রেডার্স নামে পবা উপজেলার চরশ্যামপুর ও চরখিদিরপুর মৌজার একটি বালুমহাল ইজারা নিয়েছেন। তবে ইজারাবহির্ভুত এলাকা থেকে বালু তোলার কারণে হাইকোর্টের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত গত ২৪ জুলাই বালুঘাটটি বন্ধ করে দেন। এরই মধ্যে পদ্মায় পানি চলে আসে। অভিযানের পর কিছু দিন বালু তোলা বন্ধ থাকে। কিন্তু এরপর আবারও বালু তোলা শুরু করেন তিনি। তবে পদ্মায় পানি থাকায় এতো দিন ড্রেজারে করে বালু তোলা হচ্ছিল। এরই মধ্যে নদীর পানিও কমে গেছে। মাঝে চর পড়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে পদ্মা। এখন সেই চরেই বালুর ট্রাক পাঠাতে নদীর এপারের অংশ ভরাট করে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। নদীর দুই তীর থেকে এরই মধ্যে প্রায় ২০০ গজ ভরাট করা হয়েছে।স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫ দিন ধরে এভাবে ভরাট করে নদীর গতিপথ বন্ধ করা হচ্ছে। আজিজুল আলম বেন্টু আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। তবে তারা ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।রাজশাহীর নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, আমরা এভাবে নদী ভরাটের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কারণ, এ বছর নদী ভরাট করে রাস্তা তৈরি করা হলে সেটা আগামী ভরা মৌসুমে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করবে। তখন পলি জমবে। এর ফলে নদীর একটা বড় অংশ পলি জমে ভরাট হয়ে যাবে। নদী আরও দূরে চলে যাবে। আমরা এটা চাই না। আমরা নদী চাই। প্রশাসনকে এখনই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নদীভরাট করে রাস্তা তৈরি করা যায় কি না জানতে চাইলে আজিজুল আলম বেন্টু বলছেন,এটা জেলা প্রশাসককে প্রশ্ন করেন। তিনিই তো বালুঘাট ইজারা দিয়েছেন। বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।