দিনাজপুর জেলায় শ্রেষ্ঠ খানসামার ইউএনও মাহবুব

প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল- ইসলাম দিনাজপুর জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হয়েছেন।

২০১৯ সালের ২১টি ক্যাটাগরির মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হন।

শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, বাছাই কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক দিনাজপুর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ১৮ ডিসেম্বর (বুধবার) তাকে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ইউএনও হিসাবে তিনি গত ৪ ফেব্রæয়ারী ২০১৮ খানসামায় যোগদান করেন। ইউএনও হিসাবে যোগদানের পর থেকেই মেধা, যোগ্যতা আর দায়িত্ববোধের প্রমাণ দিয়ে তিনি জয় করে নিয়েছেন উপজেলাবাসীর মন এবং প্রাথমিক শিক্ষায় রেখেছেন অসামান্য অবদান।

তিনি একজন শিক্ষা বান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে ইতিমধ্যে উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার মানোন্নয়ন, ঝড়ে পড়া রোধ, কাবদল গঠন, বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যথাসময়ে স্কুলে শিক্ষক- শিক্ষার্থীরে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, ¯িøপের টাকা ব্যবহারে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, সাংস্কৃতিক চর্চা, নিয়মিত স্কুল পরিদর্শন, গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান,নিরক্ষরতা দূরীকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ, বিদ্যালয়ে তদারকিতে শিক্ষা কর্মকর্তাদের এবং ম্যানেজিং কমিটিকে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হয়েছেন।

১৩টি উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর জেলায় তার কৃতিত্বের অবদান এবং সম্মানে খানসামা উপজেলাবাসী গর্বিত।

শ্রেষ্ঠ্যত্বের প্রতিক্রিয়ায় ইউএনও আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, যেকোনো অর্জনই আনন্দের তবে স্বীকৃতি দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি করে। তিনি সকলের দোয়া, পরামর্শ, প্রেরণা, উৎসাহ উদ্দীপনায় শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন।

দিনাজপুর জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে মনোনীত করায় এবং কর্মপ্রচেষ্টায় অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য দিনাজপুর জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম স্যারের প্রতি তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম নাটোর সদর উপজেলার পাটুয়া পাড়া মহল্লার মো.নাজিম উদ্দীনের ছেলে।

তিনি ৩০তম বিসিএসের (প্রশাসন) মাধ্যমে ২০১২ সালের জুন মাসে তার কর্মজীবন শুরু করেন।