ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
‘বিজয় দিবসের র্যালিকে কেন্দ্র করে যেসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে এটা অনাকাঙ্খিত। এতে আইন শৃংখলার কোন অবনতি ঘটেনি। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণ যেন বিভ্রান্তির মধ্যে না পড়ে এজন্যই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন।’ ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে মঙ্গলবার (১৭ই ডিসেম্বর) রাতে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিজয় দিবসের দিন সংঘার্ষিক ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মকলেছুর রহমান মিন্টু একথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, সাধারণ জনগণের শান্তি-শৃংখলা এবং শান্তিপূর্ণ জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখার বিষয়টি আমরা শতভাগ নিশ্চিত করতে চাই। ওইদিন একটি পক্ষ পোষ্ট অফিস মোড়ে যুবলীগের অফিসে হামলা করলেও আমরা সকলকে শান্ত করি। তিনি বলেন, আমরা সাংগঠনিক ১০ই ডিসেম্বর এক সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বিজয় দিবসের সকল কর্মসুচী সুন্দরভাবে সম্পন্ন করবো। আমরা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইসাহাক আলী মালিথাকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে তাঁকে বলেছিলাম পৌর সভাপতির সাথে শেয়ার করার জন্য। ১৫ই ডিসেম্বর ইসাহাক আলী মালিথা ও বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের সাথে পার্টি অফিসে আমাদের কর্মসূচির সফল করার বিষয়ে আলোচনাও হয়। পৌরসভার কর্মসুচী তিনি পালন করবেন, এতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু কি ঘটলো আপনারা সবই জানেন। আমরা কাউকে খাটো করতে চাইনা। আমাদের র্যালী সুষ্ঠুভাবে শুরু হয়ে রিক্সাস্ট্যান্ড পর্যন্ত যেয়ে সমাপ্ত করেছি। মামলা দায়ের প্রসংগে তিনি বলেন, লঘু ঘটনার জন্য নিজদলের নেতা-কর্মীদের মামলায় জড়িয়ে হেনস্থা করার প্রশ্নই উঠে না। তবে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রচেষ্টা করা হলে তখন ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এমপি অসুস্থ হয়ে যখন হাসপাতালে ভর্তি হলেন, তখন কেউ কেউ উল্লাস করেছে। ঈশ্বরদীতে একটি অংশ আনন্দিত হয়ে গরু জবাই করেছেন, কেউ মিষ্টি খেয়েছেন। ভাবটা এমন যে মন্ত্রী মহোদয় ইন্তেকাল করলে সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে, যা খুশি তাই করবে। কিন্তু আল্লাহ’র রহমতে আপনাদের দোয়ায় তিনি এখন সুস্থ আছেন এবং অচিরেই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মকলেছুর রহমান মিন্টু বলেন, আমাদের কাউকে ছোট বা খাটো করার জন্য এই সংবাদ সম্মেলন নয়। কেউ না কেউ জড়িত তো আছে। ঈশারায় অনেক কিছু বুঝে নিতে হয়, সবতো বলা যায়না।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রশীদুল্লাহ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা মাহজেবিন শিরিন পিয়া, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল, পৌর কমিটির সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম লিটন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি, সাধারণ সম্পাদক সুমন দাসসহ শতাধিন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।