১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার সময় দলীয় নেতাদের ভূমিকা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এত বড় একটা ঘটনা, বাংলাদেশের কি কোনো লোক জানতে পারলো না? কেউ কোনো পদক্ষেপ নিল না!’
তিনি বলেন, ‘ওই লাশ পড়ে থাকলো ৩২ নম্বরে! কেন? সেই উত্তর আমি এখনো পাইনি। এত বড় সংগঠন, এত নেতা কোথায় ছিল? মাঝেমধ্যে আমার এটা জানতে ইচ্ছে করে।’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ সাহসে ভর দিয়ে এগিয়ে আসতে পারলো না। বাংলার সাধারণ মানুষ তো বঙ্গবন্ধু মুজিবের সঙ্গে ছিল। হয়তো এই ব্যর্থতার খেসারত দিতে হয়েছে এই জাতিকে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য, বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলছিলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। শুধু তাকে একা নয়, আমাদের পরিবারের সব সদস্যসহ আত্মীয়, পরিবার-পরিজন। একইসঙ্গে আমার মেজো ফুফু, সেজো ফুফু, ছোট ফুফুর বাড়ি সব বাড়িতেই তারা হানা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদ করতে গিয়ে বারবার জেল, জুলুম, অত্যাচারিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু তিনি সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। বঞ্চনার হাত থেকে বাঙালিকে মুক্তি দেওয়া, বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বতন্ত্র ভূমি গড়ে তোলা, বাঙালিকে একটি জাতি হিসেবে সারা বিশ্বে মর্যাদা দেওয়া—এটাই ছিল জাতির পিতার লক্ষ্য।’
স্বাধীনতার জন্য মুক্তি সংগ্রামে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজ-উদদৌলাকে কূটচালে লর্ড ক্লাইভ পরাজিত করে এবং বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। ঠিক সেই সূর্য উদিত করার জন্যই ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।’