গভীর রাত। ঘড়ির কাঁটা ১টা ছুঁই ছুঁই।রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিস্তব্ধ হতে থাকে নাটোর শহর। কমতে থাকে পথচারীর সংখ্যা। মানুষের সঙ্গে যেন ঘুমের প্রস্তুতি নেয় লাল-নীল জাদুর শহরটাও উষ্ণতার ছোঁয়ায় মানুষ যখন ঘুমে বিভোর, তখন এ শহরে ছিন্নমূল মানুষরা অপেক্ষায় থাকে কখন শেষ হবে শীতের রাত। দেখা যাবে সকালের সূর্য।
কমবে শীতের কষ্ট। এ যেন সুকান্ত ভট্টচার্যের ‘শীতের সূর্য’ কবিতার বাস্তব চিত্র। কবি লিখেছেন, ‘হে সূর্য! শীতের সূর্য!/ হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায়/ আমরা থাকি,/ যেমন প্রতীক্ষা করে থাকে কৃষকদের চঞ্চল চোখ,/ ধানকাটার রোমাঞ্চকর দিনগুলির জন্যে।/ হে সূর্য! তুমি তো জানো,/ আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব!/ সারারাত খড়কুটো জ্বালিয়ে,/ এক টুকরো কাপড়ে কান ঢেকে,/ কত কষ্টে আমরা শীত আটকাই!’
শীতের মৌসুমে দেশের উত্তরের জেলাগুলোতে ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে অবর্ণনীয় কষ্টে। বিভিন্ন স্থানে চোখে পড়ে ফুটপাতে শুয়ে থাকা ঘরহীন মানুষের। এসব সহায়-সম্বলহীনদের কেউ হালকা বিছানা পেতে, কেউবা বিছানা ছাড়াই শুয়ে পড়ে সড়কে, প্লাটফর্মে,ফুটপাতে অথবা গাছের তলায়, ব্রিজের নিচে। তাদের কেউ শ্রমজীবী, কেউ ভিক্ষুক,কেউবা নিতান্তই অসহায়।
সোমবার গভীর রাতে নাটোর রেলওয়ে ষ্টেশনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখলাম, রাতের হিমশীতল আকাশের নিচে শুয়ে আছে অসংখ্য ছিন্নমুল মানুষ। কিছু লোক চারিদিকে খোলা সেডের নিচে ঘুমাচ্ছে ।এদের কারোই ঘর কিংবা থাকার জায়গা নেই। নেই ভালো বিছানা।
শীত থেকে বাঁচার মতো ন্যূনতম গরম কাপড়ও নেই অনেকের। কখনও বিত্তবানদের কেউ কেউ ব্যক্তিগত ও সংঘের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও ছিন্নমূল মানুষের তুলনায় তা যথেষ্ট নয়। রেলস্টেশনে ৭০ বছরের করিম নামের অসুস্থ এক বৃদ্ধের সঙ্গে কথা হয়। তার গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটে। পাঁচ ছেলের জনক তিনি। তবুও খেতে হয় ভিক্ষে করে। দিনে ভিক্ষে করেন। রাতে শুয়ে থাকেন নাটোর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে। শীতে খুব কষ্ট হয় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। ছেলেসন্তান থেকেও আজ আমাকে খেতে হয় ভিক্ষে করে। শীতের রাতে খুব কষ্ট হয়। আমাদের কি দেখার কেউ নেই বাবা?
নাটোর ষ্টেশন ওভারব্রীজের টিনের ছাউনীরনিচে গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে দুই শিশু কালাম ও জুবায়ের । শীতে কুঁকড়ে যাচ্ছিল তাদের ছোট্ট শরীর।
পুরনো একটি কাঁথায় গা মুড়িয়ে শীত নিবারণের ব্যর্থ চেষ্টা করতে করতেই প্রতিদিনের রাত কাটে তাদের। কাছে গিয়ে দেখা যায়, ফল বিক্রেতাদের ফেলে দেয়া কাগজের ছেঁড়া কার্টন দিয়ে তৈরি করেছে বিছানা। ষ্টেশন রেলবস্তির অবস্থাও একই রকম।শীতের রাতে স্টেশনের যাত্রী ছাউনির সীটের নিচে কুড়িমুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। আর তার পাশেই একটি কুকুরকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
আমরা এসব প্রকৃত ছিন্নমূল মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে চায়। প্রয়োজন আপনাদের সহযোগীতার ।টাকা বা নতুন-পুরান শীত বস্ত্র দিয়ে। আগ্রহী সমাজসেবী ও সাধারণ মানুষ এবং সংগঠন যারা যেভাবে, যা দিয়ে সাহায্য করতে পারেন এই শীতার্তদের কল্যাণে, তাদের জন্য একটি ব্যাংক একাউন্ট, বিকাশ নম্বর ও যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর দেয়া হল।
ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত নিম্নোক্ত ঠিকানায় সাহায্য পৌঁছে দিতে পারেন আপনার সাহায্য গুলো। আমরা ২৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে শীতবস্ত্র কেনা সম্পন্ন করে ১ থেকে ৫ জানুয়ারী তারিখে সে গুলো বিতরনের ব্যবস্থা করে ফেলব ইন শা আল্লাহ।
সবসময়ের মত এবারো আপনাদের সাড়া পাব এই আশায় হাত বাড়াচ্ছি। এই নেক কাজটি যেন ভালভাবে সম্পন্ন করতে পারি, দোয়া করবেন।
আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টঃ-smile for simle
সঞ্চয়ি হিসাব নং-011211100000483
southeast bank limited,natore branch
আমাদের বিকাশ নাম্বারঃ-
০১৭৩৭০৬৫৬০৫
(01737065605)
যোগাযোক করুনঃ-smile for life (একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান)
মোঃ নাসিম উদ্দীন নাসিম (সভাপতি
নাটোর প্রতিনিধি
বাংলাদেশ প্রতিদিন ও স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল NEWS 24
মুঠোফোন নম্বর-01737065605/01791769511