সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার রামপুর গ্রামস্থ অলংকারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মোজাহিদের পরিচালিত ‘ইছহাক একাডেমীতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের বদলে গ্রহন করা হয়েছে বার্ষিক পরীক্ষা। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনের বদলে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি দল ইছহাক একাডেমীতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান।সরেজমিনে একাডেমীতে যাওয়ার পর দেখা যায়, বিজয় দিবসের নানান আয়োজনের মাধ্যমে যখন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক ও অভিভাবকরা বিজয় দিবসের উৎসব পালনে ব্যস্থ। এর ঠিক উল্টো অবস্থানে রয়েছেন ইছহাক একাডেমীর পরিচালক ও শিক্ষকরা। তারা বিজয় দিবসে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন না করে বরং প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের চলমান বার্ষিক পরীক্ষায় ‘আইসিটি’ বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে। আবার একটি শ্রেণী কক্ষে চলছে কোচিং ক্লাস।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও শিক্ষকরা যদি বিজয় দিবসের দিন অনুষ্ঠান পালনের বদলে পরীক্ষা নেন তাতে আমাদের কি করার আছে। আমরা বাধ্য হয়েই পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছি। পরীক্ষায় অংশ না নিলে তো আমরা ফেল করব। আর কে জীবনের একটি বছর নষ্ট করতে যায়।বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনের বদলে ওই দিনই পরীক্ষা গ্রহনের ব্যাপারে অভিভাবক আখতার হোসেন হোসেন বলেন, বিষয়টি খুব খারাপ লাগছে। তবে অতীতে এমনটি হয়নি। এবার কেনো এমন হল জানিনা।এব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস আলী বলেন, ভুল হয়ে গেছে। আমাদের এটা করা ঠিক হয় নি। আর এমনটি হবে না।ইছহাক একাডেমীর পরিচালক ও অলংকারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মোজাহিদ বলেন, পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী আজ (১৬ ডিসেম্বর) কোন পরীক্ষা নেই। এটি আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে একটি দ্বন্দ চলমান আছে। আর ওই দ্বন্দের জের ধরে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার জন্যই শিক্ষকরাই বিজয় দিবসের দিন পরীক্ষা নিয়েছেন। আজকের পরীক্ষার ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমীর কান্তি দেব বলেন, বিজয় দিবসের দিন পাঠদান কোন অবস্থায় গ্রহনযোগ্য নয়। তাই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।