বীরগঞ্জে কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারনে উদ্বোধনের ৯ বছর ধরে বহুতল সুপার মার্কেট নির্মানের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বা টেন্ডার আহবান করা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা উত্তর সারা দেশের ন্যায় প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথাৎ ৩১ শর্য্যার হাসপাতাল নির্মান করা হয়। ফলে বৃটিশ সরকারের সময় ১৮৯০ইং জেলা পরিষদের ২ দশমিক ৩৭ একর জমিতে নির্মিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সহ অবকাঠামো ডিস্পেনচারী, এমবিবিএস কোয়াটার কম্পাউন্ডার কোয়াটার ও জমিসহ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পরিত্যাক্ত হয়। এরপর লুটেরা বাহিনীর সদস্যরা ইট, কাঠ, টিন, লোহার পিলার সহ যাবতীয় মালামল লুট করে কমপেক্সটি নিশ্চিহৃ করে দেয়। পরিত্যাক্ত এমবিবিএস কোয়াটারটি উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় ও কম্পাউন্ডার কোয়াটারটি কুষ্ঠ চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে কির্ছুদিন ব্যাবহার করা হয়। অবশিষ্ট ফাঁকা মাঠ পরিত্যাক্ত থাকায় মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড ও এলাকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যাবসায়ীরা সরকারী সম্পত্তির পূর্ব ও দক্ষিন বাহু দখল করে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান তৈরী করে ভোগ দখলে আছেন।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা উত্তর দেশের সরকার বদল হলেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। বর্তমান সরকার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেনি। তবে পরপর ৭-৮ বার ব্যাবসা কেন্দ্র সমুহে উচ্ছেদ অভিযানে হাজার হাজার ব্যাবসায়ীর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে উচ্ছেদের স্বীকার হয়ে কোটি কোটি টাকা লোকশান দিয়েছে। এলাকার ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা পরিষদের কাছে বহুতল সুপার মার্কেট নির্মানের দাবি তোলে কিন্তু দুই বিভাগের মালিকানার রশি টানা টানিতে জনতার দাবি ৪৯ বছরেও পুরন হয়নি । জনতার দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকারের জাতীয় সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপালের হস্তক্ষেপে স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের মালিকার দাবি প্রত্যাহার করে নেয়। জেলা পরিষদ মালিকানা ফিরে পেয়ে বহুতল সুপার মার্কেট নির্মানের পরিকল্পনা গ্রহন করে। গত ২৬ অক্টোবর/২০১০ইং জেলা পরিষদের “বহুতল সুপার মার্কেট” নির্মানের জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে ভিত্তি প্রস্তর উদ্ধোধন করা হয়। অকশেষে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে বহুতল সুপার মার্কেটের ডিজাইনের নকশা ও প্লান তৈরী করে পরিত্যাক্ত ডাক্তার খানার মাঠ পরিস্কারের জন্য শত বছরের পুরাতন আমগাছ গুলো কেটে, সরকারী কোয়াটার গুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়। জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ মার্চ/২০১০ইং ৩িন-তলা মার্কেট নির্মানের প্লান তৈরী করে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হয়।
১ম তলায় ১৮৯টি দোকান, ২য় তলায় ২০০টি দোকান ঘর নির্মান ও ৩য় তলায় অফিস, ব্যাংক, বীমাসহ ১২ হাজার বর্গফুট বরাদ্দ গ্রহনের জন্য র্নিধারিত ফরমে আগ্রহী ব্যবসায়ীদের কাছে দরখাস্ত আহবান করা হয়। প্রতিটি ফরমের মুল্য ১০০০/- (অফেরৎযোগ্য) নির্ধারন করে কয়েক শত ফরম নগদ মুল্যে বিক্রয় করা হয়। জেলা পরিষদের শর্ত মোতাবেক অনেকের কাছে প্রথম কিস্তির ৫০ হাজার টাকা এককালিন জমানত হিসেবে গ্রহন করা হয়। কিন্তু ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও মার্কেট নিমার্নের টেন্ডার আহবান করা হচ্ছে না।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আজিজুল ইমাম চৌধুরী জানান, টোটাল মার্কেট ১২হাজার বর্গফুট ভুল করে একটি ছাদ এর নকশা তৈরী করা হয় যা পরর্বতীতে মার্কেটে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের সমস্যার সৃষ্টির বিষয়ে বিবেচনা করে নুতন ভাবে ডিজাইন করতে সামান্য বিলম্ব হচ্ছে। অবিলম্বে বহুতল সুপার মার্কেটের নির্মান কাজ শুরু করা হবে বলে নিশ্চত করেছেন।