দালালের সিন্ডিকেটের আখড়া পরিণত হয়েছে পাবনা আঞ্চলিক পাসর্পোট অফিস। সিন্ডিকেটের বাইরে পাসপোর্ট করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে পাসপোর্ট প্রত্যাশিদের। পাসর্পোট অফিসের অবৈধ আয়দিয়ে পাশেই বসে মাদক ও জুয়ার আসর। পাসপোর্ট অফিস, প্রশাসনের লোকজন, স্থানীয় নেতা ও দালাল চক্র জড়িত এই সিন্ডিকেটের সাথে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়- পাবনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ঢুকলেই দেখা যায় দালাল চক্র বসে আড্ডা দিচ্ছে চায়ের দোকানে। পাসপোর্ট প্রত্যাশী কেউ গেলে তাকে ধরে সহযোগীতার কথা বলে বাগিয়ে সবকিছুর দায়িত্ব নেয় এরা। ব্যাংকে টাকা দেয়া, পুলিশ ফেরিভ্যাকেশন, সত্যায়িত, কাগজপত্র পুরণসহ চুক্তি নেয় এরা। এদের মাধ্যমে না গেলে অফিসে অনেক কৃত্রিম ভুল ধরা পরে যার ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে দালালদের সাথে চুক্তিতে যায়। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের কৃত্রিম ভুল দালাদের কাছে যেতে সহযোগীতা করে। চুক্তির সময় দালালেরা তিন /চার হাজার টাকা বেশী নেয়। বিষেশ বিষেশ ক্ষেত্রে বড় অংকের টাকা নেয় এরা। সোনালী ব্যাংক পাবনা বানিজ্যিক শাখায় গেলে দেখা যায় দালাল চক্রের কয়েকজন লোক প্রতিনিয়ত পাসপোর্টের জন্য টাকা জমা দেয়। এই টাকার ভাগ নেতা প্রশাসন সহ বেশ কয়েক ভাগ হয়। এই টাকার সাথে জড়িতরা পাসপোর্ট অফিসের সামনের দিকের পাশেই সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পযর্ন্ত চালায় মাদক ও জোয়ার আসর। এদের অপকর্মে অতিষ্ঠ চকছাতিয়ানি বাসী। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চায় তারা।
স্থানীয়রা এবং ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে জানান- পাসপোর্ট অফিসে দালাল চক্রের আখড়া এটাঁ সবাই জানে কিন্তু প্রশাসনের ভুমিকা রহস্যজনক। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এদের মুলউৎপাটন সম্ভব নয়। পাসপোর্ট অফিসের দালালদের মধ্যে অন্যতম হলেন- চক ছাতিয়ানি এলাকার মুকাই, আলাল, শাহিন, রিপন, বাবু, তুহিন, মাহিন, মাঠ পাড়ার কালাম, গাছপাড়ার আরিফ, নয়নামতির তপু। এদের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ২ নেতা।
ওসি(ডিবি) মো. ফরিদ হোসেন বলেন- আমি এখানে নতুন এসেছি। এখানে পাসপোর্ট অফিসের দালাল চক্র সংক্রান্ত বিষয় আমার কাছে কোন অভিযোগ আসে নাই এবং নতুন যোগদান করায় এখনও কোন তথ্য ওভাবে পাই নাই। দালাল চক্রের সাথে পুলিশের কোন সখ্যতা নাই। তবে পাসপোর্ট অফিসে দালাল চক্র থাকলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রæত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।
এ ব্যাপারে পাবনা পাসপোর্ট অফিসের এডি ইউসুব এর মুঠোফোনে একাধিক দিন ফোন করে পাওয়া যায় নাই।