রাজনগরে বসত ঘর পূর্ণ নির্মানে বাঁধা দিয়ে হামলা ও লুটপাট

রাজনগরে কদমহাটা গ্রামের সোলেমান আলীর নিজ বসত ঘর পূর্ণ নির্মান কাজে বাঁধা দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় অ¯্রসহ বসত ঘরে হামলা ও লুটপাট এর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ কদমহাটা গ্রামের মৃত ঃ আব্দুস সোবহান এর পুত্র ইমরান উদ্দিন (৪৫)গংদের বিরুদ্ধে। এ ঘঠনায় সোলেমান আলীর পুত্র হোসাইন আহমদ বাদী হয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে- সোলেমান আলীর বসত ঘরটি পূর্ণ নির্মানের কাজ শুরু করলে ইমরান উদ্দিনসহ ৫/৭জন লোক সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় অ¯্রসহ বসত ঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ সময় নগদ ১লাখ ২০ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র ভাংচুরসহ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এবং মহিলাদের চুলে ধরে টানা হেচরা,কিল ঘুষি,লাথি মারতে থাকেন। এ ঘটনায় এক সালিশ বৈঠক অনুষ্টিত হয়। উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ৮নং মনসুরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন বখত, ইউপি সদস্য মোনাইম কবির, সাবেক ইউপি সদস্য দলিলুর রহমান বিলাতসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উপস্থিত বিচারকরা পুর্বের বাটোয়ারা নামা দেখে সেই অনুযায়ী শান্তিপুর্ণ ভাবে যার যার অবস্থানে ও তাদের ঘরের পূর্ণ নির্মান কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ইমরান উদ্দিনগংরা উপস্থিত সালিশ বৈঠক মেনেও নেন। কিন্তুু বৈঠক পরবর্তী সময়ে ইমরান উদ্দিন কোন প্রকার মামলা-মোকদ্দমা ছাড়াই রাজনগর থানার পুলিশ দিয়ে ঘর পূর্ণ নিমাণ কাজ বন্ধ করে দেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে হোসাইন আহমদ বলেন- গ্রাম্য সালিশ-বৈঠক কিছুই মানছেননা ইমরান উদ্দিনগংরা। আমরা পরিবারের লোকজনদের নিয়ে খোলা আকাশের নিছে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। তিনি আরো বলেন-আমাদের মৌরসী সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে প্রায় ১যুগ আগে। সেই সময় গ্রামের মুরব্বী ফুলরী মিয়া, বজলু চৌধুরী, কাবের চৌধুরী, সাবেক ইউপি সদস্য দলিলুর রহমান বিলাত, আব্দুল হান্নান, আব্দুল জলিল,আব্দুল ওয়াহিদসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে ইমরান আহমদ এর উপস্থিত ও সম্মতিতে তৎকালীন সময়ে রুহুল আমিন সার্ভেয়ার উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে ভাগ বাটোয়ারা করে একটি ষ্টাম্পে উভয় পক্ষের স্বাক্ষর নেন। ভাগ বাটোয়ারা করা ভূমিতে সন্তুষ্ট চিত্তে নিজ হাতে সীমানা পিলার স্থাপন করে দেন। সেখানে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছি। আমাদের অংশের ভ’মিতে একটি পাকা ঘরনির্মাণ ও বাড়ীর সামনের পুকুরের মধ্যখান মাটি ভরাট, রাস্তা নির্মাণ করে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় করি।