ভালো কাজের প্রলোভনে ভারতে প্রবেশ করে বিভিন্ন মেয়াদে
কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশি ১৯
যুবক। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বেনাপোল
চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে বেনাপোল
ইমিগ্রেশনের কাছে এই যুবকদের হস্তান্তর করেন।ফেরত
আসা যুবকরা হলেন, শেরপুর জেলার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন,জয়নাল
আবেদিনের ছেলে বিজয় মিয়া, হাসেম আলীর ছেলে মুক্তার মিয়া, চাঁন মন্ডলের ছেলে
জাহিদুল ইসলাম, চানমিয়ার ছেলে সুমন মিয়া, শাহিন মিয়ার ছেলে আবুল কালাম,
জলীলের ছেলে আশিক মিয়া, আফিল উদ্দিনের ছেলে ছমির মিয়া, রেজাউদ্দিনের ছেলে
লালমিয়া, আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে মঞ্জুরুল হক, লালমনিরহাট জেলার আমিনুর
রহমানের ছেলে আরিফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ জেলার শাহজাহান খানের ছেলে সজিব
হোসেন, তার সহোদর দোলন হোসেন, গাজীপুর জেলার মেরাজ আলীর ছেলে কবির হোসেন,
শাহেদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান, সৈয়দপুর জেলার সরাফাত হোসেনের ছেলে খালিদ
বিন খোকন,মাদারিপুর জেলার খালেক মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, দিনাজপুর
জেলার জয়নাল আবেদিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম নরসিংদী জেলার বিল্লাল হোসেনের
ছেলে নজরুল ইসলাম। এদের বয়স ১৮ থেকে ৩৬ বছর পর্যন্ত।বেনাপোল
ইমিগ্রেশন সুত্র জানায়, এরা ভালো কাজের জন্য বিভিন্ন সীমান্ত পথে গত ২ বছর
আগে ভারত পাড়ি জমায়। সেখানে তামিলনাড়ু প্রদেশের ক্রিকুট শহরের আন্থনী
গার্মেন্টসে চাকুরী করত। পরে ওই গার্মেন্টস থেকে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে।
পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যেমে চেন্নাই সেন্ট্রাল জেল খানায় রাখে। পরে দুই
দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে তারা বিশেষ ট্রভেল
পারমিটের মাধ্যেমে দেশে ফেরত আসে। ফেরত আসা যুবক
আশিক মিয়া বলেন, আমরা অভাব অনটনের সংশারে গত দুই বছর আগে ভারত পাড়ি জমাই
দালালদের মাধ্যেমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে। এরপর আমরা তামিলনাড়ু ক্রিকুট শহরে
আন্থনী নামে একটি গার্মেন্টেসে চাকুরী করি। সেখান থেকে পুলিশ আটক করে
আমাদের চেন্নাই সেন্ট্রাল জেলে পাঠায়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মহসিন খান পাঠান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফেরত আসাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, ফেরত আসাদের থানার আনুষ্ঠানিকতার কাজ শেষে তাদের আত্নীয়-স্বজনদের কাছে তুলে দেওয়া হবে।