বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার রায়নগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মহাস্থান গড় গ্রামের ১০ হাজার মানুষের নিরাপদ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে রবিবার সকালে উক্ত গ্রামের মাস্টার পাড়ায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহাস্থান গড় প্রতিবন্ধী স্কুলের সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহীনুর রহমান। এসময় উক্ত গ্রামের শত শত নারী পুরুষ ও শিশুরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে বলা হয়, মহাস্থান গড় গ্রামে মোট জমির পরিমান ৭৫০.৯৩ একর। তন্মধ্যে ব্যক্তি মালিকানায় ৫৮৬.১১ একর, মহাস্থান মাযার মসজিদের ১০২.৭৩ একর এবং প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের ৬২.০৯ একর সম্পত্তি। ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি সিএস, এমআরআর ও আরএস মূলে বংশানুক্রমে গৃহাদি নির্মান করে তথায় চাষাবাদ করে শান্তিপূর্ন ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করে আসছে। মহাস্থানগড় মৌজায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। গত কয়েক বছর ধরে এখানকার বসবাসকারী মানুষ বসতবাড়ি নির্মান কিংবা মৃতদেহ কবরস্থ করতে কবর খনন, পানি সেচের জন্য ড্রেন নির্মাণ, এমনকি গৃহস্থালি প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মান করতে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছেন প্রতœতাত্তি¡ক জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। ২০১০ সালে মহাস্থান মাযার মসজিদ সংলগ্ন জায়গায় নির্মাণ কাজকে কেন্দ্র করে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিচ ফর বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠন মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। উক্ত মামলায় শুধুমাত্র প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শনীয় স্থানসমুহে খনন বা নির্মান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকলেও প্রতœতাত্তি¡ক জাদুঘরের অসাধু কর্মকর্তারা অন্যায় লাভের আশায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসরণ না করে নিজ খেয়াল খুশি মত মহাস্থানগড় গ্রামের সর্বত্রই অবকাঠামো নির্মান, কবর খনন, সেচ কাজে ড্রেন নির্মাণসহ প্রভৃতি কাজে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছেন। বহু ভূমি মালিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় প্রতœতত্ব অধিদপ্তর হেরে গেছে। এছাড়াও জনসাধারণের মূল্যবান ভূসম্পত্তি পানির দরে অধিগ্রহণ করে স্বল্পমূল্যে অনিয়মতানিয়মতান্ত্রিকভাবে ওই জমি বিভিন্ন ব্যক্তিদের লিজ প্রদান করেছেন। অন্যায় লাভের আশায় প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তর আরও ভূমি অধিগ্রহণের চেষ্টা চালাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয় প্রতœসম্পদ কাহারো দ্বারা নষ্ট বা ধংস হোক এটা মহাস্থানগড়বাসী কখনই কামনা করে না। মহাস্থানগড় গ্রামের আপামর জনসাারণের পক্ষে বলা হয় তাদের পৈত্রিক আবাসস্থল, ভিটা মাটি থেকে উচ্ছেদ না করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানানো হয়। এসময় উপস্থিত বক্তব্য রাখেন রায়নগর ইউপি চেয়ারম্যান মো: শফিকুল ইসলাম শফি, ইউপি সদস্য আলাউদ্দীন, সাবেক ইউপি সদস্য আছালতজ্জামান, মোশারফ হোসেন, বেলায়েত হোসেন বাবলু, সুফি আলম মাষ্টার, আক্কাস আলী, মুক্তা প্রমুখ।