নাটোরের গুরুদাসপুরে ভুয়া দলিল করে জমি আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে আকবর খাঁ (৪৫) নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। আকবর উপজেলার মশিন্দা শিকারপাড়া গ্রামের মৃত আজগর খাঁর ছেলে। তার কাজই ভুয়া দলিল তৈরি করে অন্যের জমি আত্মসাৎ করা।
অভিযোগে জানা যায়, আকবর খাঁ দলিল লেখক আব্দুস সাত্তারের যোগসাজসে ভুয়া দলিল দেখিয়ে জমি জবরদখল করায় এলাকার অনেকেই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানে শালিসী বৈঠক ডাকলে হাজির না হওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরো জানা যায়, আকবরের সৎ মা ইয়ারজান বিবি মারা যাওয়ার তিন বছর আগে ২০০৯ সালে তার নাতি (কুরবানের ছেলে) আলী হোসেনকে দেড় বিঘা জমি দান শর্তে রিজিষ্ট্রি করে দেন। কিন্তু আকবর খাঁ দলিল লেখকের সাথে আঁতাত করে পূর্বের তারিখ দেখিয়ে ১৯৮৫ সালের ভুয়া দলিল করে ওই জমি আত্মসাৎ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রতিবেশি চাঁদ মোহাম্মদের ছেলে ওমর ফারুক অভিযোগ করেন, জাল দলিল করে মানুষকে পথে বসানোর পায়তারা করছেন আকবর খাঁ। ভুয়া দলিলে জমি আত্মসাৎ করাই আকবর খাঁর কাজ। তাদের ৩৮ শতক জমিও জবরদখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন আকবর খাঁ। সাবেক ইউপি সদস্য লবু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলীকে সাথে নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে ফইমুদ্দিনের স্ত্রী সালেহার সাড়ে ১৬ শতক জমিও ভুয়া দলিল করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে আকবর খাঁর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত আকবর খাঁর ভাতিজা আলী হোসেন (৩৭) বলেন, বিরোধের জের ধরে তার সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী নারগিসকে গত ১৩ নভেম্বর হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে আকবর ও তার সন্ত্রাসবাহিনী। ঘটনার পরদিন থানায় মামলা হলে পুলিশ আকবর খাঁকে গ্রেফতার করে নাটোর কারাগারে পাঠায়। কিন্তু ৪ ডিসেম্বর জামিনে ছাড়া পেয়ে আলীর পরিবারকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে আকবর ও তার স্ত্রী শিউলী বেগম।
এ ব্যাপারে আকবর খাঁর মুঠোফোনে (০১৭৬৪-৮২৫৫৪৩) বারবার চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে দলিল লেখক আব্দুস সাত্তার বলেন, তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কেন ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে তার উত্তর তিনি দেননি।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, আকবর খাঁর বিরুদ্ধে জমিজমা নিয়ে কোর্টে একাধিক মামলা আছে। কোর্টেই তার ফয়সালা হবে। তবে আলী হোসেনের পরিবারকে হুমকি দেয়ার ঘটনা সত্য হলে তার জামিন বাতিলের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।