বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ আমাদের জাতির জীবনে খুব বড় একটি ঘটনা। সেই সাথে আমাদের মনে রাখতে হবে এই স্বাধীনতা যুদ্ধ চিরদিন চলে না। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ একবারেই শেষ হয়েছে। এই স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হলেও মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়নি। এই যুদ্ধ চলমান। চলতেই থাকবে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে ‘বৈশি^ক সহযোগীতায় দর্শন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দর্শন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘বিশ^ দর্শন দিবস’ উপলক্ষ্যে প্রধান বক্তা হিসেবে বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধ হয় কিছুকাল। সেই যুদ্ধ হয় বাইরের শক্তির সঙ্গে, আধিপত্যবাদী শক্তির সঙ্গে একটা সংকটকালীন সময়ে। তারপর শুরু হয় আসল যুদ্ধ। সেই যুদ্ধ শুরু হয় নিজের সঙ্গে। নিজের খারাপের সঙ্গে। সেই যুদ্ধে আমাদের আসল সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়। সেইটাকে বলে মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হলে আমরা স্বাধীন হয়ে যাই, কোন জাতি স্বাধীন হয় কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ কোনদিন শেষ হয় না। এই জাতি যতদিন আছে, পৃথিবী যতদিন আছে মুক্তিযুদ্ধ ততদিন চলবে। সুতরাং আমরা সুন্দর জীবণ চাই, সুন্দর পরিবেশ চাই, উন্নত ও কাম্য জীবণ চাওয়ার আহŸান জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভাগের সভাপতি প্রফেসর শামীমা আক্তারের নেতৃত্বে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি মমতাজউদ্দিন কলাভবনের সামনে থেকে ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবণে একটি আলোচনা সভায় মিলিত হয়। দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনিম নাজিরা রিদার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক, দর্শন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক প্রফেসর হাসান আজিজুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা ও প্রফেসর ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া। আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন দর্শন সমিতির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আক্তার আলী।
এছাড়াও অনুুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট পদার্থ বিজ্ঞানী, বাংলাদেশের পদার্থ বিজ্ঞানের একমাত্র এমিরিটাস প্রফেসর ড. অরুণ কুমান বসাক, কলা অনুষদের ডীন প্রফেসর ফজলুল হক, দর্শন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. আবু বকর, প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান, প্রফেসর ড. আরিফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মুতাসিম বিল্লাহ, প্রফেসর ড. মজিবুর রহমান, লতিফ হলে প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক ড. একরাম হোসেন, শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জাহিদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. রোকনুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ড. সন্ধা মল্লিক, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আ-মামুন, আফরোজা সুলতানাসহ বিভাগের তিন শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।