ডামুড্যার দারুল আমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম লিটন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক ইনু বেপারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা ফুঁসে উঠেছে। তবে তারা দুজনই প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ জনসম্মুখে মুখ খুলতে পারে না। তাই এব্যাপারে সঠিক বিচারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা।
জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম লিটন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক ইনু বেপারী বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন যাবৎ ইনু বেপারী সভাপতির পদ আকড়ে ধরে রেখে নানান কর্তৃত্ব করে চলছে। তার সকল অপকর্মে সহযোগিতা করছে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম লিটন। তারা দুজন সম্পর্কে “মামা-ভাগিনা”। একারণেই তাদের কোন অপকর্মে কেউ বাঁধা দিয়েও শেষ পর্যন্ত সফল হয় না। এছাড়াও ইনু বেপারী দারুল আমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও সভাপতি। অন্যদিকে, ইনু বেপারী ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারে না।  
তারই ধারাবাহিকতায় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলে প্রতি বছর এস.এস.সি পরীক্ষায় ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। আর কোচিং বাণিজ্যেরও অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার গাছ কম মূল্য দেখিয়ে বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। আর বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী ওয়াল ও মাঠে বালু ভরাটের নামেও অর্থ লুটে নেওয়ার অভিযোগ তাদের দিকে। আরও জানা গেছে, কেউ সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের এসব দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার, ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তারা।
এসব বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম লিটনের বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি। আর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক ইনু বেপারী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।