রাজশাহীর বাগমারার প্রতিবন্ধী মানিকজান বিবি (৭০) বসত বাড়ি না থাকায় খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পরের বাড়িতে দীর্ঘ দিন যাপন করলেও গত ২/৩ দিন আগে তার জিনিসপত্রসহ তাকে আশ্রয়দাতা বের করে দেয়। এতে করে খোলা আকাশের নীচে হয়েছে তার ঠাই। জানা গেছে, উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের বালানগর গ্রামের মৃত গোপাল প্রামানিক মেয়ে প্রতিবন্ধী মানিকজান বিবি। আকারে ৩ ফিট উচ্চতা। চিকন গলায় ন¤্র, সহজ ও সস্বরণগত মানিকজান বিবি নিঃসন্তান অবহেলিত এক জীবন। পিতার তেমন কোন জমিজমা ছিল না। মায়ের সামান্য বসত ভিটা ২ ছেলেদের নামে লেখে দেয়। ছোট (বামন) হবার কারণ এক সময়ে বিয়ে হলেও সংসার টিকেনি তার। পিতা-মাতার অবর্তমানে বাধ্য হয়ে বাবার বাড়িতে এসে ভিক্ষা করে জীবন চলে তার। দীর্ঘ দিন ছোট ভাই আনিছুর রহমানের বাড়িতে থাকলেও গত ২/৩ দিন আগে তাকে বের করে দিলে তার ঠাই হয় খোলা আকাশের নীচে। স্থানীয় কলেজ শিক্ষক রেজাউল হক, জানান, মানিকজান অতি ক্ষুদ্র মানুষ। অনাহার আর অর্ধহারে সে অসহায় জীবন যাপন করে। বর্তমানে প্রতিবন্ধী ভাতা ৩ মাস পরে পেলেও তার থাকার কোন জায়গা জুটছে না। এক সময়ে স্থানীয়দের অনুরোধে তার ভাই জায়গা দিয়েছিল। এখন ছেলে বড় হবার কারণে তাকে জায়গা দিতে অপারগতা জানায়। এ কারণে বাড়ি থেকে তাকে বের হতে বলে তার ভাই। গত বৃহস্পতিবার মাকিজান বিবি বাইরে যেতে না চাইলে তার জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেয়া হয়। সে থেকে মানিকজান বাধ্য হয়ে বাইরে রয়েছে। বৃহস্পতি বার থেকে রান্না করতে না পেরে অবশেষে আশ্রয়স্থলের বাইরে খোলা জায়গায় শনিবার সন্ধ্যায় চুলা কেটে রান্না করেন তিনি। এদিকে শীতের হাত থেকে বাঁচতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন মানিকজান বিবি। এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ জানান, মানিকজানকে বিবিকে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করতে চাই। তাকে আর শীতে কষ্ট করতে হবে না। তার জন্য ঘরেরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।