অর্থের কাছে হেরে যেতে বসেছে ফাতেমার উচ্চ শিক্ষা। কোথায় পাবেন অর্থ, কে দিবেন অর্থ? শেষ পর্যন্ত কি অর্থের কাছে হেরে যাবেন । এমন আশঙ্কায় দিন কাটছে লালপুর উপজেলার তিলকপুর গ্রামের চা বিক্রেতা ইউসুফ আলীর আদম্য মেধাবী কন্যা ফাতেমা খাতুনের ।
ইউসুফ আলী জানান, ৩ শতাংশ বাড়ির জমিটি ছাড়া আর কিছুই নেই। মেয়ে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও ভর্তি করানোর ও পড়ানোর টাকা নেই বলে জানান তিনি। ফাতেমার বড় বোন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান বিভাগের ৪র্থ বর্ষে অধ্যায়নরত আছে। তার একার পক্ষে দুই বোনের লেখা পড়া করানো সম্ভব না ।
জানা গেছে,ছোটবেলা থেকেই দুর্দান্ত মেধাবী ফাতেমা ।পিএসসিতে জিপিএ-৫, জেএসসি তে জিপিএ-৫, এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও পরীক্ষার সময় অসুস্থ্য থাকায় এইচএসসিতে পান জিপিএ-৪.৯২। ফাতেমা এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ ইউনিটে মেধাতালিকায় ৭৪৭তম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ‘খ ইউনিটে মেধাতালিকায় ৩৩৪, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে খ ইউনিটে ১৮৩, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে খ ইউনিটে মেধাতালিকায় ১৪তম ,জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ গ ইউনিটে ৪৯৫তম।
ভর্তি হতে প্রায় ১৫ হাজার টাকা লাগবে তিনি জেনেছেন। কিন্তু ভর্তির টাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগানো তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই তিনি তাকিয়ে আছেন সমাজের বিবেকবানদের দিকে। একটু সহানুভ‚তিই তাকে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন সফল করে দিতে পারে।আগামী সপ্তাহে তার ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু তার এই স্বপ্ন পূরণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সুযোগ পেয়েও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার উচ্চ শিক্ষা। ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে ফাতেমা বিসিএস ক্যাডার হতে চায়। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির শেষ দিন। কিন্তু জীবনের শুরুতেই বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। কোথায় পাবে টাকা, কে দিবেন টাকা? কে চালাবে পড়ার খরচ! এই চিন্তায় দিন কাটছে অদম্য মেধাবী ফাতেমার। দিন মজুর বাবার পক্ষে এ টাকা জোগাড় করা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।
ফাতেমা বলেন, আমি আলাহর রহমতে ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। আমার জন্য সকলে দোয়া করবেন আমি যেন শুধু শিক্ষত না হয়ে একজন ভালো মানুষ হতে পারি।
মেয়ের উচ্চ শিক্ষার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন বাবা ইউসুফ আলী ।