শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান
বেপারীর বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর এসব অনিয়মের কাজে সহায়তা
করছে প্যানেল চেয়ারম্যান ও ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহআলম ফরাজী বলেও
অভিযোগ। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না
স্থানীয়রা। তাই এব্যাপারে স্থানীয়রা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা
করেছে।
জানা গেছে, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বেপারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে
বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই এলাকায় কম আসে। তিনি ঢাকায় স্থায়ীভাবে ব্যবসা করে।
একারণেই দীর্ঘদিন যাবৎ ওই ইউনিয়নের জনগণ বিভিন্নভাবে নাগরিক সুবিধা থেকে
বঞ্চিত হয়ে আসছে। এদিকে চেয়ারম্যান না থাকায় প্যানেল চেয়ারম্যান ও ১নং
ওয়ার্ডের মেম্বার শাহআলম ফরাজী ওই চেয়ারম্যানের বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পন্ন
করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তাদের দুই জনের সহায়তায় ওই ইউনিয়নের
মোহন ফকিরের কান্দির বাসিন্দা বাবুল ফকিরের স্ত্রী পরিচয়ে শুকতারা নামক এক
রোহিঙ্গা নারী শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে যায় বলে
অভিযোগ উঠে। পরে সেখানে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে শুকতারা নামক ওই
রোহিঙ্গা নারী আটক হয়। সাহিদা আক্তার পরিচয়ে পাসপোর্টের আবেদন করে ওই
রোহিঙ্গা নারী শুকতারা। তাকে আটকের পর স্বামী পরিচয় দেয়া বাবুল ফকির পালিয়ে
যায়। কথিত আছে, ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বেপারী ও তার সহযোগী মেম্বার
শাহআলম ফরাজীর ঘনিষ্ঠজন হলো রোহিঙ্গা নারীর আশ্রয়দাতা বাবুল ফকির। আর ওই
চেয়ারম্যান ও মেম্বার অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে অপ্রাপ্ত বয়সের স্কুল ছাত্রী
ও রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠে। এছাড়াও তারা
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের সরকার কর্তৃক প্রদত্ত
বয়স্কভাতা প্রদান করেছে। তাই এসব বিষয়ের ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় জনতা।
তারা অভিযুক্তদের সঠিক বিচার দাবি করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই
ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মতিউর রহমান বেপারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত
হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তিনি নানা
ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মুখ
খুলতে সাহস পাচ্ছে না স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কাজী আবু
তাহের বলেন, রোহিঙ্গা নারীর পাসপোর্ট করতে আসার বিষয়ে সহযোগিতা করায় একটি
মামলা হয়েছে। যা পুলিশি তদন্ত চলছে।
এ ব্যাপারে পালেরচর ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বেপারী ও ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহআলম ফরাজীর
বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাদের’কে পাওয়া যায় নি। আর সাংবাদিক
পরিচয় দিলেই তারা ফোন কেটে দেয়। অনেক সময় লাপাত্তা হয়ে যায়।