আলীকদমের আকাশে শান্তির পায়রা উড়িয়ে দিন ব্যাপি নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে পার্বত্য চুক্তির ২২ তম বর্ষ পূর্তি। সোমবার সকাল ১০ টায় আলীকদম শহীদ মিনার চত্বর থেকে সাদা রঙ্গের পায়রা উড়িয়ে শুভারম্ভ হয় দিবসটির। ১০ টা ১৫ মিনিটে আলীকদম জোনের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাইফ শামীম এর নের্তৃত্বে একটি শান্তি র্যালী আলীকদম শহীদ মিনার থেকে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। এসময় ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত শান্তি চুক্তির ২২ তম বর্ষ পূর্তির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আলীকদম জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাইফ শামীম। লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহির উদ্দিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে জান্নাত রুমি, আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সায়েদ ইকবাল, আলীকদম উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার, আলীকদম থানার অফিসার্স ইনচার্জ কাজী রকিব উদ্দিন, লামা থানার অফিসার্স ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা, ৩ নং নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফোগ্য মার্মা, গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, লামা ও আলীকদম উপজেলা কর্মরত সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আলীকদম প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান মাহমুদ, আলীকদম মুরুং কল্যান ছাত্রাবাসের পরিচালক ইয়োংলক ¤্রাে প্রমূখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লেঃ কর্ণেল সাইফ শামীম বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদন করেন। প্রধান মন্ত্রীর এমন মহৎ উদ্যোগের কারণে পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইছে। কিন্তু এখনো কতিপয় সন্ত্রাসী সংগঠন বিভিন্ন নামে নীরিহ জনগনের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে। আপনারা আমাদেরকে সহযোগীতা করলে আমরা এসব চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসকে শক্ত হাতে দমন করতে সক্ষম হবো। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বজায় রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সয্য করা হবেনা।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, সাম্প্রাতিক সময়ে কিছু উশৃঙ্খল লোকজন ফেসবুকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যার কারণে পাহাড়ে বসবাসকারী শান্তিপ্রিয় জুমিয়ারা বিভ্রান্ত হচ্ছে। ফেসবুকে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বক্তারা প্রমাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। আয়োজনের অন্যান্য অংশে রয়েছে দুপুর একটা প্রীতিভোজ, বিকেলে সম্প্রীতির ফুটবল ম্যাচ ও রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।