পাবনার সাঁথিয়ার বিলবাইশ বিলে কচুরী পানায় সয়লাব। চলতি রবিশষ্য মৌসুমে বিলবাইশা, বিলকুলা, কাজিপুর, চৈত্রহাটি মৌজার হাজার হাজার বিঘা জমিতে কচুরী পানা থাকার কারনে জমি অনাবাদির আশঙ্কায় কৃষক কুল হতাশ। কৃষি অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন নিরব।
জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার আর.আতাইকুলা ইউনিয়নের কাজিপুর বাউর নামে জলাভ’মি সংলগ্ন বিলবাইশা, বিলকুলা, কাজিপুর, চৈত্রহাটিসহ কয়েকটি মৌজা ভূক্ত। আষাঢ়-শ্রাবণ বর্ষাকালে এই বাউর দিয়ে পাবনা সদরের পানি বের হয়ে গ্যারকা ও গাজনার বিলে পানি যায়। গত ৩/৪ বছর ধরে কচুরী পানা বেশী জন্মালে বাউর ক্যানেল দিয়ে কচুরী পানা গুলো ভেসে আবাদী জমিতে যায়। বর্ষার পানি নামার সাথে সাথে কচুরীপানা জমিতে পড়ে থাকে। এতে কয়েকটি মৌজার হাজার হাজার বিঘা জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে বিলবাইশা বিলে গেলে আবু তাহের মোলা, ফেরদৌস, বিলাল হোসেন, আনোয়ার খা, মোসলেম, আঃ গফুর শেখ, আজিজ শেখ, জামাল খা নামে অনেক কৃষক জানান কচুরীর কারনে তারা রবিশষ্য চাষ করতে পারছেন না। এক বিঘা জমি পরিস্কার করতে খরচ হয় প্রায় ৪ হাজার টাকা। তাও শ্রমিক সংকট। তারা আরো জানায় কচুরী পানা থাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে কয়েক গুন। স্বাস্থ্যঝুকিতে রয়েছে তারা। তারা কয়েকবার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের কাছে জানালেও কোন সুরাহা হয়নি। অতি জরুরী ভাবে কচুরী পানা অপসরন না হলে আসন্ন বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ হবে না। তারা আরো জানান এসব মাঠে প্রচুর পেয়াজ রসুন উৎপাদন হয়ে থাকে। পেয়াজ চাষীরা হতাশা হয়ে পড়ছে। কচুরী পানা অপসারনের জন্য জরুরী ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এ অঞ্চলের কৃষককুল।