সার্টিফিকেট দেয়া ও শিক্ষার প্রসারই শেষ কথা নয়। প্রয়োজন যুগোপযোগী শিক্ষা। প্রতিনিয়তই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তিত হচ্ছে। কাজেই বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার সঙ্গে ল্যাবরেটরির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। রোববার বিকেলে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্বিবিদ্যালয়ের (রুয়েট) ৫ম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আব্দুল হামিদ এসব কথা বলেন ।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বর্তমান সরকার কারিগরী ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ পরিকল্পনার আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ যাবত কালের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উন্নয়ন বাজেট প্রদান ও গবেষণা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যমান সুবিধাসমূহ সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুণগত উচ্চশিক্ষা প্রদান ব্রতী হবে।
এছাড়াও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে মাথায় রেখে ন্যানো টেকনোলজি, রোবোটিক্স, বøক চেইন ম্যানেজমেন্ট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো বিষয়গুলোকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে বলেন তিনি। প্রযুক্তি উন্নয়ন করার মধ্যেই উদ্ভাবনের সার্থকতা। তাই যুগোপযোগী ও টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সকলকে মনোনিবেশ করতে হবে। অন্যের অনুকরণ নয়, অন্যরা অনুকরণ করতে পারে সে লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কথা বলেন আব্দুল হামিদ।
গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্য বলেন, কেবল চ্যান্সেলর হিসাবে নয়। তোমাদের গুরুজন হিসেবে বলতে চাই, উচ্চ শিক্ষা শেষে শুধু একটা ভালো চাকরি পাওয়াই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে না। শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে, নিজে শিক্ষিত হওয়া অন্যকে শিক্ষিত করা এবং বৃহৎ মানবতার কল্যাণ করা। তাই ব্যক্তি স্বার্থে উর্ধ্বে উঠে মানবসত্ত¡া দিয়ে দেশকে আলোকিত করবে। বিশ্বকেও সেই আলোর আভায় রাঙিয়ে তুলার আহŸান জানান।
বক্তব্যর শুরুতে রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা শেখ মজিবুর রহমান এবং রুয়েটের শিক্ষার্থী মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে শহীদ হয়েছে তাদের আত্মার মাগফিরাম কামনা করেন।
সমাবর্তন বক্তা ছিলেন, ইউএসএ ভার্জিনিয়া টেক এ্যাডভান্সড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডাইরেক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান। বক্তব্য দেন, রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম শেখ। অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০০৯-১০ থেকে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের বিএসসি, এমএসসি, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারীদের সনদ প্রদান করা হয়।