সিডিউল বর্হিভুত নিম্নমান কাজের অভিযোগে এলাকাবাসী স্কুল ভবণ নির্মানের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। দৃশ্যপটটি সাঁথিয়া উপজেলার আর.আতাইকুলা ইউনয়নের আড়িয়াডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ে।
জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক চলতি অর্থ বছরে আড়িয়াডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪তলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মানের জন্য ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ পায়। নির্মান কাজটি সমাপ্ত করতে নদী এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োজিত হয়। ভবন নির্মানের কাজটা দেখভাল করেন সাঁথিয়া উপজেলা প্রকৌশলীর উপসহকারী প্রকৌশলী মারুফুল ইসলাম। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করতে গেলে স্থানীয়রা বন্ধ করে দেন। প্রায় মাস দেড়েক বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নজরে আসেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। আড়িয়াডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ আঃ মজিদ জানান ১৯৭০ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হলেও অবকাঠামো না থাকায় ভাঙ্গা টিনের ঘরে শিক্ষার্থীরা ক্লাসসহ পরীক্ষা দেয়। তাদের কষ্ট লাঘবে সরকার ৪তলা বিশিষ্ট ভবন বরাদ্দ দিয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী দেয়ার বিষয়ে তিনি কর্তপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবিষয়ে আড়িয়াডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আলতাব হোসেন (আলতু মেম্বর) বলেন, নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করায় ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ করেছে এলাকাবাসী। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত পুর্বক দ্রুত কাজ সমাপ্ত করে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার অব্যহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন। স্থানীয় অবসর প্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা নুরমোহাম্মদ ওয়াজিউদ্দিন বলেন, উন্নয়নমুখী সরকারের নিম্নমান সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদার। এটি অতি গুরুত্ব সহকারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দেখে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সরকারের ভাবমুর্তি যেন ক্ষুন্ন না হয়। এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা প্রকৌশলীর উপসহকারী প্রকৌশলী মারুফুল ইসলাম মুঠোফোনে নিম্নমানের সামগ্রী আনা হয়েছে স্বীকার করে বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সরেজমিনে দেখে স্যাররা সিদ্ধান্ত দিবেন। –