যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর অর্থায়নে স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশী

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর অর্থায়নে সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরের দুলিয়ারবন্ধ এলাকায় একটি সুরম্য মসজিদ নির্মান সমাপ্ত হয়েছে। মাদ্রাসা, ঈদগাঁও ও এতিমখানা নির্মানের কাজ জোরেসোরে চলছে। উপজেলার তাজপুরের হাজী মো: তাহির আলীর স্ত্রী সফিনা খাতুন। বর্তমানে বয়স প্রায় ৯০ বছর। দীর্ঘদিন যাবত ৭ ছেলে মেয়ে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তার ৪ ছেলে ফয়সল আহমদ, নজরুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম ও শাহ আলম ও ৩ মেয়ে ফাতেমা চৌধুরী, ফজিলাতুন্নেছা খালিস ও মরিয়ম সাঈদা সবাই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ও নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। সফিনা খাতুনের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন ছিল এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাও ও এতিমখানা নির্মান করবেন। স্বামী হাজী মো: তাহির আলী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। ছেলে মেয়ের কাছে এ স্বপ্নের কথা জানালে সবাই তার কথায় সায় দেন। দেশে অবস্থানকারী তার ভাতিজা মাওলানা কারী নাজমুল ইসলামের সাথে এ ব্যাপারে আলাপ করেন। তিনি তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। গত ২৯ এপ্রিল ২০১৯ইং ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরের দুলিয়ারবন্ধ এলাকায় তার মালিকানাধীন ১৮ শতক ভ’মিতে আনুষ্ঠনিকভাবে সফিনা তাহির আলী জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে জোরেসোরে কাজ শুরু হয়। প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মসজিদের কাজ শেষ করে গত ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ইং এশার নামাজের পর মসজিদটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। বর্তমানে কয়েক শত মানুষ প্রতিদিন মসজিদে নামাজ আদায় করছেন। মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা কারী নাজমুল ইসলাম। ইমামের বাসস্থান ও এতিম ছাত্রদের হোষ্টেল নির্মানের কাজ চলছে। পাশের ১০ শতক জমিতে মাদ্রাসা ও ঈদগাও নির্মানের কাজও প্রক্রিয়াধীন। এলাকাবাসী আশেপাশে কোন মসজিদ না থাকায় এখানে মসজিদ নির্মান করায় অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে অত্যন্ত খুশী। তারা এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সফিনা খাতুন মসজিদ নির্মানশেষে চালু হওয়ায় অত্যন্ত খুশী। এ ব্যাপারে তিনি আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করেন। সফিনা খাতুনের ছেলে ফয়ছল আহমদ ,নজরুল ইসলাম, মেয়ে ফাতেমা চৌধুরী, ফজিলাতুন্নেছা খালিস, মরিয়ম সাঈদা, ফাতেমা চৌধুরীর স্বামী সাদ চৌধুরী, ফয়ছল আহমদ এর স্ত্রী নাহিদ সুলতানা পান্না জানান মায়ের এ স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় তারাও খুশী। কাজ সম্পূর্ন ভাবে শেষ করতে যত টাকা দরকার তা ব্যয় করতে তারা কার্পন্য করবেন না। এ ব্যাপারে তারা এলাকার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।