মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের খৈশাউড়া গ্রামে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্ত ঐ তরুণী মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘঠনায় একই এলাকার কেনান মিয়ার পুত্র সয়ফুল মিয়া (২৩), মৃত ঃ রশিদ উল্যা পুত্র জিলু মিয়া (৪২), জসির মিয়ার পুত্র হেলাল মিয়া (৩৫), বাহার উদ্দিন এর পুত্র তছর উদ্দিনকে আসামী করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা (নং-১১, তারিখ ঃ ১১/১১/২০১৯ইং) দায়ের করা হয়েছে। ঘঠনাস্থল থেকে হেলাল মিয়াকে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ । ভুক্তভোগী তরুনী ও তার পিতা জানান- ছয়ফুল মিয়া একজন লম্পট ও চরিত্রহীন প্রকৃতির লোক। সে আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ও চাচাতো ভাইয়ের ছেলে হয়। ছয়ফুল খারাপ কাজের প্রস্তাব দিত। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে জোর পূর্বক ধর্ষণ করবে বলে হুমকি দিত। আমার বাবা সওদাগর মিয়া ও চাচাতো ভাই খালেদ মিয়া তার বাবা কেনান মিয়াকে অবগত করলেন এবং ছয়ফুল মিয়াকে বাধা দেওয়ার জন্য বললেন। কিন্তু ছয়ফুল মিয়ার বাবা এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেন নাই। তরুনী আরও জানান, প্রতিদিনের ন্যায় ৪ নভেম্বর রাতের খাবার খেয়ে চাচাতো ভাই খালেদ মিয়ার ঘরে ঘুমিয়ে পড়ি। সেই রাত অনুমান ১২.৩০ মিনিটে কাটের দরজা কৌশলে খুলে আমার রুমে প্রবেশ করে এবং আমার শরীরে জড়াইয়া ধরলে আমার ঘুম ভেঙে যায়। তখন আমি চিৎকার দিলে আমার মুখ চাপিয়া ধরে আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়ের ভাই আব্দুল গফুর জানান, চিৎকার শুনে আমার বাবা ছয়ফুল মিয়াকে আটকে রাখেন। এ বিষয় জানার পর তজমুল মিয়া, জিলু মিয়া, ইয়াদ আলী ও তছর উদ্দিনসহ এলাকার লোকজন এসে প্রতিশ্রুতি দেয় যে তাদের বিবাহ দেবে। সে বিষয়ে আশ্বস্থ হয়ে আমার বাবা ছয়ফুল মিয়াকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা বললে তার বাবা কেনান মিয়া বিবাহ তো দুরের কথা তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং তিনি বলেন পরবর্তীতে আসলে মারপিট করবেন বলে হুমকি দেন।