স্টাফ রিপোর্টার:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় রেল দুর্ঘটনায় মা হারানো শিশু মাহিমার পড়ালেখাসহ ভবিষ্যতের সার্বিক বিষয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
বুধবার সকালে ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন শিশুটিকে দেখতে গিয়ে তার দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন উপমন্ত্রী শামীম।
ওই হাসপাতালে কসবা দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ৭ জনের চিকিৎসা চলছে। শিশু মাহিমার নানা বাড়ি শরীয়তপুর জেলার সখিপুরের আরশিনগরে। উপমন্ত্রী শামীম ওই এলাকার এমপি।
উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আহতদের মধ্যে ৭ জনকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আজ সকালে সেখানে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নেন।
তিনি বলেন, আহত শিশু মাহিমা তার মা হারিয়েছে, স্বজন হারিয়েছে। সে তার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা। এজন্য তিনি শিশুটির সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন। ভবিষ্যতে শিশু মাহিমার পড়ালেখাসহ সার্বিক বিষয়ে সহায়তা দেবেন তিনি।
ট্রেন দুর্ঘটনার পর শিশুটিকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই সময়ে তার কোনো স্বজন পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিচয় খুঁজতে মাথায় ব্যান্ডেজ পেচানো রক্তাক্ত শিশুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে মঙ্গলবার বিকেলে তার বাবা মাইনুদ্দিন পরিচয় শনাক্ত করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি স্ত্রী কাকলি আক্তারের লাশও শনাক্ত করেন।
মাইনুদ্দিন জানিয়েছিলেন, রবিবার সিলেটের হযরত শাহজালাল (রা.) ও হযরত শাহ পরানের (রা.) মাজার জিয়ারত করতে যান তার স্ত্রী কাকলি আক্তার, মেয়ে মাহিমা আক্তার, মামা জাহাঙ্গীর আলম, মামী আমাতন বেগম ও মামাতো বোন মরিয়ম। সোমবার সিলেট থেকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হন তারা। চাঁদপুর থেকে ট্রলারে করে তাদের শরীয়তপুরের সখিপুরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী, মামি ও মামাতো বোন মারা যান।