আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অন্যান্য দলেও অনেকে বড় বড় কথা বলছেন। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, দুর্নীতি করে কাদের আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। খোঁজ নেয়া হবে প্রশাসনে কারা দুর্নীতিবাজ। সব সেক্টরে খারাপ লোকদের খুঁজে বের করা হবে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দশটা ভালো কাজকেও একটা খারাপ কাজ ঢেকে দিতে পারে, মলিন করে দিতে পারে। দশটা ভালো কাজ একটা খারাপ কাজের জন্য ম্লান হয়ে যেতে পারে। শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রিয় ভাই ও বোনেরা মাদককে না বলুন। দুর্নীতিকে না বলুন। সন্ত্রাসকে না বলুন। টেন্ডারবাজিকে না বলুন। চাঁদাবাজিকে না বলুন। ভূমি দখলকে না বলুন। অন্যের বাড়ি দখলকে না বলুন। পরিষ্কার ম্যাসেজ, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার। এই ম্যাসেজ আমি সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মীদের কাছে, নেতাদের কাছে দিয়ে গেলাম।
সেতুমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজরা, মাদক ব্যবসায়ীরা সাবধান। লুটেরারা সাবধান, সন্ত্রাসীরা সাবধান। দুর্নীতিবাজরা সাবধান। এদের ঠাঁই নেই শেখ হাসিনার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগে। মনে রাখবেন, ক্ষমতা চিরদিন থাকে না। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না কেউ। বসন্তের কোকিলদের এনে দল ভারী করার চেষ্টা করবেন না। আমরা দুঃসময়ের কর্মী চাই, বসন্তের কোকিল চাই না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দলে পরিমাণগত ব্যাপকতার কমতি নেই। সংখ্যার আমাদের কর্মীর অভাব নেই। সমর্থকের অভাব নেই। আমাদের পার্টিতে দূষিত রক্ত আমরা আর চাই না। এই দূষিত রক্ত বের করে দিতে হবে। বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে। অশুদ্ধকে শুদ্ধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কে কত প্রভাবশালী তারচেয়েও বড় কথা হচ্ছে আমরা চাইবো ক্লিন ইমেজের কর্মীদের নেতা বানাতে। খারাপ লোক কোনো দরকার নেই। খারাপ লোকেরা দলের দুর্নাম ডেকে আনে। দুঃসময় এলে এই খারাপ লোকেদের হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।